বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতারা বলেছেন, লুটপাট বন্ধের হাত থেকে দেশ ও দেশের মানুষকে বাঁচাতে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম জোরদার করতে হবে।
তারা বলেন, সাধারণ মানুষের প্রকৃত আয় কমে গেছে অথচ কিছু মানুষ অর্থের পাহাড় গড়ছে। ক্ষমতা আর ক্ষমতাসীনদের আনুকূল্য ছাড়া সৎ আয়ে এভাবে টাকার পাহাড় গড়া সম্ভব নয়।
মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত সমাবেশে বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতারা এসব কথা বলেন।
নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি প্রতিরোধ, বিদ্যুৎ-গ্যাস-পানির মূল্যবৃদ্ধির পাঁয়তারা বন্ধ, সিন্ডিকেট চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ, সারা দেশে সার্বজনীন রেশন ব্যবস্থা চালু, দুর্নীতি-লুটপাটকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ, খেলাপি ঋণ-পাচারের টাকা আদায়সহ ফ্যাসিবাদি দুঃশাসনের অবসানসহ বিভিন্ন দাবিতে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়
নেতারা আরও বলেন, পত্রিকায় প্রকাশিত খবরে জানা গেছে, এস আলম গ্রুপসহ কারও কারও হাতে আলাদিনের চেরাগ আবার উৎপাদনের সাথে জড়িত শ্রমজীবী কারও হাতে রং চটা খালি।
দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সারা দেশে সার্বজনীন রেশন ব্যবস্থা ও ন্যায্যমূল্যের দোকান চালু, দক্ষ ও দুর্নীতিমুক্তভাবে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে নিত্যপণ্যের বাফার স্টক গড়ে তোলা ও সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের চক্র ভেঙে মজুতদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান নেতারা।
খেলাপি ঋণ আদায় করে ও বিদেশে পাচার করা অর্থ ফেরত এনে জনস্বার্থে কাজে লাগানো এবং ঘটনার নেপথ্যের হোতাদের খুঁজে বের করারও দাবি জানান বাম জোটের নেতারা।
বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)’র সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্সের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবীর জাহিদ, বাসদ (মার্কসবাদী)’র সমন্বয়ক মাসুদ রানা, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) খালেকুজ্জামান লিপন, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির শহিদুল ইসলাম সবুজ, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক পার্টির নির্বাহী সভাপতি আব্দুল আলী।
সমাবেশ পরিচালনা করেন সিপিবির কেন্দ্রীয় নেতা কাজী সাজ্জাদ জহির চন্দন।
সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল জাতীয় প্রেস ক্লাব, তোপখানা রোড, পল্টন, দৈনিক বাংলা, বক্স কালভার্ট রোড, বিজয়নগর হয়ে পুরানা পল্টন মোড়ে এসে শেষ হয়।