বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী দাবি করেছেন, নৌকার বাইরে গেলেই হিন্দুদের ওপর নির্যাতন করা হয়। তিনি বলেন, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে আওয়ামী লীগ ভোট ব্যাংক মনে করে। আওয়ামী লীগের ভয়ে স্বাধীনভাবে তাদের মতামতও প্রকাশ করতে পারে না। নৌকার বাইরে গেলেই তাদের ওপর হামলা-নির্যাতন নেমে আসে।
৭ জানুয়ারির নির্বাচনের সময় সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের তথ্য সংগ্রহ করতে বিএনপি’র গঠিত কমিটি’ তথ্য সংগ্রহের উদ্দেশ্যে ফরিদপুর গেলে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে নিতাই রায় চৌধুরী একথা বলেন।
সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের তথ্য সংগ্রহ করতে নিতাই রায় চৌধুরীর নেতৃত্বে গঠিত কমিটি বিভিন্ন জেলায় সরেজমিন পরিদর্শন করছেন। এর অংশ হিসেবে শনিবার (৩রা ফেব্রুয়ারি) তদন্ত কমিটি ফরিদপুর সদর উপজেলার কানাইপুর ইউনিয়নের রনকাইল গ্রামে যায়।
এ সময় তদন্ত কমিটির সদস্য বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-ধর্মবিষয়ক সম্পাদক অমলেন্দু দাস অপু, বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট নিপুন রায় চৌধুরী, যুবদলের সহ-আইনবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট নুরে আলম সিদ্দিকী সোহাগ, জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব আফজাল হোসেন খান পলাশ, যুগ্ম আহ্বায়ক সৈয়দ জুলফিকার হোসেন জুয়েল, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব গোলাম মোস্তফা মিরাজ, কোতোয়ালি থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান চৌধুরী রঞ্জন, যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি বেনজির আহমেদ তাবরিজ, জেলা যুবদলের সভাপতি রাজিব হোসেন, সিনিয়র সহ-সভাপতি কে এম জাফর-সহ স্থানীয় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিনিধি দলটি নির্যাতিতদের বাড়ি বাড়ি যায় এবং সহিংসতার প্রত্যক্ষ বর্ণনা শোনেন।
এ সময় ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করে, ‘নৌকায় ভোট না দেয়ায় তাদের ওপর হামলা চালানো হয় এবং এখনো তারা ভীতসন্ত্রস্ত।’
পরে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৭ই জানুয়ারি ডামি নির্বাচনের আগে ও পরে দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বাড়িঘরে হামলা করে তাদের হতাহত করা হয়েছে, ভাঙচুর করা হয়েছে- সরেজমিনে বিএনপির তদন্ত কমিটি এসব তথ্য সংগ্রহ করছে। পরে কেন্দ্রীয়ভাবে এই রিপোর্ট প্রকাশ করা হবে।’
পরে প্রতিনিধি দলটি ঝিনাইদহের উদ্দেশে রওনা হয়।