নির্বাচন ঠেকাতে সর্বদলীয় গণপ্রতিরোধ কমিটি গঠনের আহ্বান নুরের

0
109

তপশিল বাতিল, সরকারের পদত্যাগ ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে বিরোধীদলসমূহের ডাকা হরতালের সমর্থনে রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধ করে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেছে গণঅধিকার পরিষদ।

মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) সকাল পৌনে ১১টায় পুরানা পল্টন মোড় থেকে মিছিল বের করার সময় পুলিশ বাধা দেয়। পুলিশের সাথে বাগবিতণ্ডা ও ধস্তাধস্তি শেষে মিছিল বের করে পুরানা পল্টন মোড় ,বিজয়নগর পানির ট্যাংকির মোড় ঘুরে আল রাজি কমপ্লেক্সের সামনে সড়ক অবরোধ করে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।

সংক্ষিপ্ত সমাবেশে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেন, আমরা মিছিল বের করতে গেলে পুলিশ আমাদের বাধা দেয়, তাদের অনেকের চেহারায় অস্বস্তির ছাপ ছিল। কারণ তারা অনেকেই আমাদের পূর্ব পরিচিত, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাই-ব্রাদার। তারা কীভাবে আমাদের ওপর হামলা করবে? সরকার অবৈধভাবে ক্ষমতায় থাকতে একতরফা নির্বাচন করতে গিয়ে আজকে প্রশাসনকে জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছে। ভিন্নমতের রাজনীতি করলেও গ্রামে,পাড়া-মহল্লায় মানুষের যে সম্প্রীতি ছিলো আওয়ামী লীগ সেটাও নষ্ট করে দিয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা জনগণের ভোটাধিকার ও দেশের অস্তিত্ব রক্ষায় শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছি। সেখানে পুলিশ কেন বাধা দিবে? সভা সমাবেশ আমাদের সাংবিধানিক অধিকার। যে ইসিকে জনগণ মেনে নেয়নি, তাদের নিষেধাজ্ঞায় কেন আমরা মিছিল-মিটিং বন্ধ করব? আমাদের পরিষ্কার কথা, আমরাও নির্বাচন চাই। তবে সে নির্বাচন হতে হবে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে। সুষ্ঠু নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অস্তিত্বহীনতার আশঙ্কায় থাকলে প্রয়োজনে রাজনৈতিক সংকট থেকে উত্তরণে জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে জাতীয় সরকার হতে পারে। সরকারকে সকল দলের সাথে সংলাপের মাধ্যমে সে উদ্যোগ নিতে হবে।

নুর বলেন, এখনও সময় আছে- প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতৃবৃন্দকে বলব, রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলাপ-আলোচনা করে জাতীয় ঐকমত্য সৃষ্টি করুন, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের উদ্যোগ নিন।

জনগণের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, সরকারকে বাধ্য করতে আপনারা রাজপথে নামুন। পুলিশ যতই বাধা দিক, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে। যে যেখান থেকে পারেন, সেখান থেকে কর্মসূচি করবে। সর্বদলীয় গণপ্রতিরোধ কমিটি গঠন করে একতরফা নির্বাচন বন্ধ করতে হবে। সরকারকে বলবো, নিরস্ত্র জনগণের ওপর দমনপীড়ন, অত্যাচার-নির্যাতন চালিয়ে মিয়ানমারের মতো সশস্ত্র আন্দোলনের দিকে ঠেলে দিবেন না।

দলের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান বলেন, আজকে পুলিশের পক্ষ থেকে আমাদের মিছিলে বাধা দেওয়া হয়েছিল। আমরা বলেছি, আমরা নির্বাচনের পক্ষে, তবে বাংলাদেশে সকল দলের অংশগ্রহণে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হতে হবে। আওয়ামী লীগ বিরোধীদলসমূহকে বাদ দিয়ে একতরফা নির্বাচনের পথে হাঁটছে।

তিনি বলেন, জনগণ একতরফা তপশিল মেনে নিবে না। আগামী ৭ জানুয়ারি জনগণ ভোটকেন্দ্রে যাবে না।

গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য আব্দুজ জাহের সংক্ষিপ্ত সমাবেশ সঞ্চালনা করেন।

মিছিলে আরও উপস্থিত ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফ, শাকিল উজ্জামান, শহিদুল ইসলাম ফাহিম, ফাতিমা তাসনিম, সিনি. যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন, মাহফুজুর রহমান,রবিউল হাসান, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন, প্রচার সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মনজুর মোর্শেদ মামুন, সাংগঠনিক সম্পাদক মুনতাজুল ইসলাম, ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আদীব, শ্রমিক অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা সম্পদ, গণঅধিকার পরিষদ মহানগর দক্ষিণের সভাপতি নাজিম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক নুরুল করিম শাকিল, মহানগর উত্তরের সভাপতি মিজানুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুুর রহিমসহ নেতাকর্মীরা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here