দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ‘বাইরের থাবা এসেছে’ মন্তব্য করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, দেশের অর্থনীতি ও ভবিষ্যৎ বাঁচাতে নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করতে হবে, এর কোনো বিকল্প নেই।
ভোট আয়োজনের নানা পদক্ষেপের মধ্যে ‘বিদেশিদের হস্তক্ষেপ ও তৎপরতা দুঃখজনক বাস্তবতা’ বলেও উল্লেখ করেন সিইসি।
সোমবার আগারগাওঁয়ে নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউটে বিচারিক হাকিমদের প্রশিক্ষণ কর্মশালায় তিনি বলেন, “নির্বাচনে আরেকটি দুর্ভাগ্যজনক বৈশিষ্ট হচ্ছে আমাদের নির্বাচনে বাহির থেকেও থাবা, হাত এসে পড়েছে। তারা থাবা বিস্তার করে রেখেছে। আমাদের অর্থনীতি, আমাদের ভবিষ্যৎ, পোশাক শিল্পসহ অনেক কিছুই রক্ষা করতে হলে এই নির্বাচনটাকে ফ্রি, ফেয়ার এবং ক্রেডিবল করতে হবে। ”
নির্বাচনকে সামনে রেখে যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া বিভিন্ন বিবৃতির প্রসঙ্গ নিয়েও কথা বলেন সিইসি।
“আমাকে যেভাবে ইউনাইটেড স্টেট কমান্ড করতে পারে। আমি সেভাবে ইউনাইটেড স্টেটেসে গিয়ে হুমকি-ধামকি দিতে পারছি না, পারব না। এটা আরেকটা বাস্তবতা।”
এ সময় প্রতিটি দেশের ‘সার্বভৌমত্ব’ বিষয়টিও ‘আপেক্ষিক’ বলে মন্তব্য করেন তিনি।
গত নভেম্বর থেকে নির্বাচনের ক্ষণ গণনা শুরু হয়েছে। এর দুই সপ্তাহ পর গত ১৫ নভেম্বের ভোটের তারিখ নির্ধারণ করে তফসিল ঘোষণা করেন সিইসি। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ৭ জানুয়ারি নির্বাচন।