বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, গণতান্ত্রিক বিশ্বকে বিভ্রান্ত করার কৌশল হিসাবে নাশকতা ও জঙ্গী নাটক মঞ্চস্থ করার পরিকল্পনা নিচ্ছে সরকার। এভাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার পূর্বনির্ধারিত ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চান।
শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) বিকেলে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এসবা কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমরা জেনেছি একজন ডিআইজিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে জঙ্গি নাটক মঞ্চস্থ করার। এজন্য বিএনপি ও জামায়াতের কয়েকজন নেতাকে তুলে নিয়ে রাখা হয়েছে। তাদেরকে দিয়ে জঙ্গী নাটক মঞ্চায়ন হতে পারে। আমি পশ্চিমা গণতান্ত্রিক বিশ্বকে বলছি, আপনারা আওয়ামী লীগের কোনো নাটককে বিশ্বাস করবেন না। একতরফা সাজানো ডামি নির্বাচন নিয়ে স্বোচ্চার হোন এবং এদেশের জনগণের একান্ত চাওয়া গণতন্ত্র এবং মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় এগিয়ে আসুন।
রিজভী বলেন, আরও বিস্ময়ের কথা হচ্ছে, তারা গণতন্ত্রের মূল ভিত্তি বহুমত ও সহনশীলতার নীতিকে অগ্রাহ্য করে প্রতিবেশী দেশের স্থিতিশীলতা, অন্য কথায় বর্তমান সরকারের ক্ষমতায় টিকে থাকাকে অপরিহার্য গণ্য করছেন গণতন্ত্রকে বর্জন করে। এক্ষেত্রে স্থিতিশীলতার বাংলা হলো স্বৈরতন্ত্র!
রিজভী বলেন, মেরুদন্ডহীন নির্বাচন কমিশন সিট বন্টনের তালিকায় সীলমোহর দেওয়ার জন্য একটি একতরফা নির্বাচনের নাটকের আয়োজন করেছে। এই নির্বাচন ঘিরে নির্বাচন কমিশনারদের কথাবার্তা-আচার-আচরণ রীতিমত হাস্যকর। গণভবনের সুতোয় পুতলের মতো নাচছে ইসি। তারা প্রায়শ বিএনপিকেও হুমকি-ধামকি দিচ্ছেন।
রিজভী আরও বলেন, আপনাদের নেতা ওবায়দুল কাদের আগেই ঘোষণা করেছেন, ‘১৮৯৬ জন প্রার্থী এবারের নির্বাচনের ফাইনাল খেলায় অংশ নিচ্ছে। ৭০ শতাংশ মানুষ ভোট দেবে।’ ওবায়দুল কাদের জানে কত শতাংম ভোট কাস্ট করবে তাও তারা গণভবনে বসে ঠিক করে রেখেছেন। আপনাদের কাজ হলো ঘোষণা করা। ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনের মতোই আরেকটি পূর্ব নিধারিত ফলাফল ঘোষণার এসব নাটক বাদ দিয়ে পদত্যাগ করে জনগণের কাতারে আসুন। অন্যথায় মীরজাফরদের পরিণতি কি হয় তা ইতিহাসে পড়ে নিন।