নিরাপত্তা নাকি রাজনৈতিক, কেন টিকটক নিষিদ্ধ করছে যুক্তরাষ্ট্র?

0
34

টিকটক নিষিদ্ধ করতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিম্নকক্ষ পরিষদ হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে বুধবার যুগান্তকারী বিল পাস হয়েছে। এখন জনপ্রিয় এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের মূল মালিকানা প্রতিষ্ঠান বাইটড্যান্সকে অ্যাপটির মালিকানা ছেড়ে দেওয়ার জন্য ছয় মাস সময় বেঁধে দেওয়া হতে পারে। এই সময়ের মধ্যে মালিকানা হস্তান্তর করা না হলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে টিকটকের ব্যবহার চিরতরে বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

বুধবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিম্নকক্ষ পরিষদে বিলটি বিপুল ভোটে পাস হয়েছে। এটি আইনে পরিণত করার জন্য এখন সিনেটের অনুমোদন পেতে হবে। এরপর প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তাতে স্বাক্ষর করবেন বলেও জানিয়েছেন। এরপরই এটি আইনে পরিণত হবে।

২০১২ সালে প্রতিষ্ঠিত ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপ টিকটকের যুক্তরাষ্ট্রে এখন প্রায় ১৫ কোটি ব্যবহারকারী রয়েছেন। এরপরেও কেন যুক্তরাষ্ট্র টিকটক বন্ধ করতে চাচ্ছে সেটি নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিচ্ছে।

অনেকে বলছেন, টিকটকে আসক্তি তৈরি হচ্ছে। এতে করে সময় নষ্ট হচ্ছে। তবে একেবারে বন্ধ করে দেওয়ার ব্যাপারে তাদের বক্তব্য হলো- অন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর ক্ষেত্রেও তাহলে তাই হওয়া উচিত। আর টিকটক যে সত্যিই নিরাপত্তা শঙ্কা তৈরি করছে বা তথ্যপাচার করছে এর কোনো প্রমাণ নেই।

আল জাজিরা জানিয়েছে, নিরাপত্তার কথা বলে টিকটক নিষিদ্ধের পথে হাঁটছে যুক্তরাষ্ট্র। যদিও দেশটির প্রায় অর্ধেকেই টিকটক নিষিদ্ধ চান না। তবে টিকটকের ওপর চীনের প্রভাব নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইনপ্রণেতারা অনেক আগে থেকেই উদ্বেগ জানিয়ে আসছেন। টিকটক চীন সরকারের কাছে অ্যাপ ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য সরবরাহ করে বলে অভিযোগ রয়েছে।

টিকটকের মূল মালিকানায় রয়েছে চীনা কোম্পানি বাইটড্যান্স। বেইজিংভিত্তিক প্রতিষ্ঠানটি কেম্যান দ্বীপপুঞ্জে নিবন্ধিত। সম্প্রতি টিকটক যুক্তরাষ্ট্রে বেশ ভালো ব্যবসা করছে।

মূূলত, যুক্তরাষ্ট্র চীনের মতো বৈরি বৈদেশিক শক্তির কোনো রকম প্রভাব থেকে মুক্ত থাকতে চাইছে। যদিও করে টিকটক নিষিদ্ধের মাধ্যমে দেশটির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের দ্বৈরথ নতুন মোড় নেবে, এরপরেও সেই দিকেই এগোচ্ছে তারা। যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ, চীনা কমিউনিস্ট পার্টি টিকটক নিয়ন্ত্রণ করছে।

যদিও বাইটড্যান্স একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, এর আগে অবশ্য প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানকে নিজেদের কব্জায় নেওয়ার নজির চীনে রয়েছে।

তবে কিছুদিন আগেও আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে যুক্তরাষ্ট্রের মূল দুই প্রতিদ্বন্দ্বী ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং জো বাইডেন তরুণ ভোটারদের আকর্ষণ করতে টিকটকে নিজেদের ভিডিও আপলোড করেছিলেন। বুধবার এই দুই দলের প্রতিনিধিরাই আবার টিকটক নিষিদ্ধের পক্ষে ভোট দিলেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here