ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম (চরমোনাই পীর) বলেছেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি জনজীবন চরম দুর্বিষহ করে তুলেছে। চাল-ডাল, আটা, চিনি, ভোজ্য তেল, শিশু খাদ্য ও শাকসব্জির মূল্যবৃদ্ধিতে সাধারণ মানুষ আজ দিশাহারা। নিয়ন্ত্রণহীন সিন্ডিকেট গোষ্ঠী। বাজার দর বৃদ্ধিতে মানুষ অনেক কষ্টে জীবনযাপন করছে। শনিবার (১৩ জানুয়ারি) এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
ইসলামী আন্দোলনের আমির আরও বলেন, ডামি নির্বাচনের নাম দেশের প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা ব্যয় করেছে সরকার। এত টাকা ব্যয়ে যে নির্বাচন জাতিকে উপহার দিয়েছে, জনগণ তা প্রত্যাখ্যান করেছে। ডামি নির্বাচন ও ডামি মন্ত্রিসভা দিয়ে জনগণের দুখ-দুর্দশা লাঘব সম্ভব নয়। তাই জনগণের ভাষা বুঝতে ব্যর্থ হলে ইতিহাসের করুণ পরিণতির অপেক্ষা ছাড়া আর কী-ই বা করার আছে।
মুফতি রেজাউল করিম বলেন, জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করছে একদল মুনাফাখোর। বয়লার মুরগি, চাল, ডাল, ভোজ্যতেলসহ আকাশচুম্বী দ্রব্যমূল্যে জনমনে চরম উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে। এভাবে জিনিসপত্রের দাম বাড়তে থাকলে অল্প, মধ্য আয়ের মানুষের দুঃখ দুর্দশার কুল-কিনারা থাকবে না।
তিনি বলেন, অর্থনৈতিকভাবে দেশের মানুষ বিপর্যস্ত। তারপর প্রহসনের নির্বাচনের বৈতরণী পার হওয়ার পর সিন্ডিকেট গোষ্ঠী জিনিসপত্রের আরেক দফা মূল্যবৃদ্ধি করে জনগণকে ভয়াবহ কষ্টে ঠেলে দিয়েছে। জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি সাধারণ মানুষের কষ্ট বাড়িয়ে তুলছে। তাই কঠোর হস্তে কালোবাজারিদের সিন্ডিকেট ভেঙে দিয়ে সাধারণ মানুষকে বাঁচাতে সরকারকে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে।
চরমোনাই পীর আরও বলেন, চালের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে এবার বেড়েছে আটার দাম। প্রতিকেজি আটা ৫০ টাকা। দাম বাড়ার ক্ষেত্রে বাদ যায়নি মসুর ডাল, ডিম, মাছ ও মাংসের দামও। এক কথায় অস্থির হয়ে উঠেছে নিত্যপণ্যের বাজার।