জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেছেন- আগামী বছর থেকে ১০ই এপ্রিল ‘প্রজাতন্ত্র দিবস’ বা ‘রিপাবলিক ডে’ হিসেবে পালন করা হবে। এটা হবে দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের প্রথম মাইলফলক। আওয়ামী লীগের পক্ষে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ভিত্তিক নৈতিক, মানবিক এবং গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ বিনির্মাণে আর কোনো ভূমিকা রাখার সুযোগ নেই। ক্ষমতার সর্বগ্রাসী মোহ আওয়ামী লীগকে খেয়ে ফেলেছে। এই ধ্বংসপ্রাপ্ত রাষ্ট্র ব্যবস্থা পুনরুদ্ধারে দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধ অনিবার্য হয়ে পড়েছে। দেশ ও জনগণকে বাঁচাতে দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধ ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই। দেশ দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে।
দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের পটভূমিতে সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের আলোকে ১০ এপ্রিল ‘প্রজাতন্ত্র দিবস’ ঘোষণার দাবিতে শনিবার জেএসডির উদ্যোগে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া মিলনায়তনে আয়োজিত সভায় প্রধান আলোচক ছিলেন-বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
আ স ম আবদুর রব বলেন- ১০ এপ্রিল স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে রাষ্ট্রের দর্শনগত দিক সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার প্রতিফলিত হয়েছে। কিন্তু সেই দর্শনকে উপেক্ষা করে সংবিধান রচনা করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে এবং ১৯৭১ সালের ২রা মার্চ পতাকা উত্তোলন দিবস, ৩রা মার্চ স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠ, ৭ই মার্চের ভাষণসহ জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণার মতো ঐতিহাসিক মাইলফলক বাদ দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস হতে পারে না।
আলোচনা সভায় জেএসডির পক্ষ থেকে ৬টি দাবি উপস্থাপন করা হয়। এগুলো হলো,
১. ১০ এপ্রিলকে ‘প্রজাতন্ত্র দিবস’ বা ‘রিপাবলিক ডে’ ঘোষণা।
২. স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের ত্রয়ী আদর্শের আলোকে রাষ্ট্র পরিচালনার মৌলিক নীতি প্রণয়ন।
৩. ‘৭২-এর অকার্যকর সংবিধানের আমূল পরিবর্তন ও স্বাধীন দেশের উপযোগী সংবিধান প্রবর্তনে গণভোটের আয়োজন।
৪. রাজনৈতিক দলের সাথে সকল সমাজশক্তির রাষ্ট্র পরিচালনায় অংশগ্রহণের সাংবিধানিক অধিকার প্রদান তথা অংশীদারিত্বের গণতন্ত্র কায়েম।
৫. এককেন্দ্রিক ক্ষমতার পরিবর্তে ফেডারেল সরকার, দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্ট ও প্রদেশ গঠন।
৬. স্বশাসিত স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তন।
আলোচনা সভায় আরোও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জাসদ সভাপতি শরিফ নুরুল আম্বিয়া, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি প্রমুখ।