দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামানত হারিয়েছেন ১ হাজার ৪৫৬ জন প্রার্থী, যা মোট প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর প্রায় ৭৪ শতাংশ। এর মধ্যে সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টিরই ২৩৬ জন রয়েছেন। নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে পাঠানো রিটার্নিং কর্মকর্তাদের হালনাগাদ তালিকা থেকে এই তথ্য পাওয়া গেছে।
গত ৭ই জানুয়ারি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ২৯৯ আসনের ভোট হয়। এসব আসনে ২৭টি রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মিলিয়ে ১ হাজার ৯৬৯ জন অংশ নেন। পরে ১২ ফেব্রুয়ারি নওগাঁ-২ আসনে ভোট হয়, যেখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ৪ জন। ভোট শেষ হওয়ার পর গত ২৪ জানুয়ারি জামানত হারানোদের তালিকা ও তথ্য চেয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের চিঠি দেয় ইসির নির্বাচন প্রশাসন শাখা। এই তথ্য ১০ কার্যদিবসের মধ্যে পাঠাতে বলা হয়।
ইসির কর্মকর্তারা জানান, চলতি মাসে মাঠ পর্যায় থেকে জামানত বাজেয়াপ্তদের তথ্যাবলী এসেছে। দলভিত্তিক পূর্ণাঙ্গ তথ্য পেতে একটু সময় লাগবে। বাজেয়াপ্ত হওয়া জামানতের অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা হয়ে থাকে। জয়ীসহ বাকিরা চাইলে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে গিয়ে জামানতের অর্থ ফেরতের আবেদন করে তুলে নিতে পারেন।
২৫ হাজার টাকা করে জামানত হারানো ১ হাজার ৪৫৬ জনের ৩ কোটি ৬৪ লাখ টাকা জমা হয়েছে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, ৭ই জানুয়ারির নির্বাচনে জামানত খুইয়েছেন ১ হাজার ৪৫৪ জন প্রার্থী। আর ১২ ফেব্রুয়ারি নওগাঁ-২ আসনের ভোটে জামানত হারান আরও ২ জন। সবমিলিয়ে ৭৩ দশমিক ৭৯ শতাংশ প্রার্থী জামানত হারিয়েছেন।
সবশেষ একাদশ সংসদ নির্বাচনে ১ হাজার ৪২২ জনের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়। সেবার দলীয় ও স্বতন্ত্র মিলে প্রার্থী ছিলেন ১ হাজার ৮৫০ জনের বেশি। সে হিসাবে জামানত হারানোদের হার সংখ্যা ৭৬ দশমিক ৬৫ শতাংশ। অবশ্য এ নির্বাচনের কোনো পরিসংখ্যান প্রতিবেদন প্রকাশ করেনি তৎকালীন কে এম নূরুল হুদা কমিশন।