দেশের চলমান আর্থ-সামাজিক সংকটে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে খেলাফত মজলিস। দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের বৈঠকে সরকারের প্রতি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে নেতৃবৃন্দ বলেন, দেশে অর্থনৈতিক সংকট দিন দিন ঘণীভূত হচ্ছে। জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে ব্যাংক থেকে লুটপাট করা হয়েছে হাজার হাজার কোটি টাকা। এই লুটপাটের অর্থ বিদেশে পাচারের কারণে জনগণের আমানত ফেরত পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা বাড়ছে। বৈদেশিক মুদ্রার তুলনায় টাকার অবমূল্যায়ন বেড়েছে। দ্রব্যমূল্য এখনো ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। তীব্র গরমের মধ্যেও লোডশেডিং বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশের এই সংকট মেনে নেওয়া যায় না।
শনিবার (২৭ এপ্রিল) বিকেলে ঢাকায় খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে দলের আমীর মাওলানা আব্দুল বাছিত আজাদ সভাপতিত্ব করেন। পরিচালনা করেন দলের যুগ্ম মহাসচিব জাহাঙ্গীর হোসাইন।
নেতৃবৃন্দ বলেন, সম্প্রতি নারী কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বোরকা-নেকাব পরিধানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল হিসেবে পরিচিত চট্টগ্রাম আই ইনফার্মারি অ্যান্ড ট্রেইনিং কমপ্লেক্স (সিইআইটিসি)’র কর্তৃপক্ষ। আমরা এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানাই। অবিলম্বে কর্তৃপক্ষকে এই অসাংবিধানিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আহ্বান জানাই।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন- যুগ্ম মহাসচিব মুহাম্মদ মুনতাসির আলী, অধ্যাপক মুহাম্মদ আবদুল জলিল, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান, মাওলানা শামসুজ্জামান চৌধুরী, মাস্টার সিরাজুল ইসলাম, মাস্টার আবদুল মজিদ, অধ্যাপক খুরশিদ আলম, বায়তুলমাল সম্পাদক আলহাজ আবু সালেহীন, প্রচার ও তথ্য সম্পাদক প্রকৌশলী আবদুল হাফিজ খসরু, সাহাব উদ্দিন আহমদ খন্দকার, মুফতি আবদুল হক আমিনী, ডা. আবদুর রাজ্জাক, জহিরুল ইসলাম, জিল্লুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা ফয়জুল ইসলাম, ডা. বোরহান উদ্দিন সিদ্দিকী, মাওলানা আফতাব উদ্দিন আহমদ, অধ্যাপক মাওলানা আজিজুল হক, মুফতি সাইয়েদুর রহমান, হাজী নুর হোসেন, মাওলানা নুরুল হক, অধ্যক্ষ আবদুল হান্নান, মাওলানা সাইফুদ্দিন আহমদ খন্দকার, আবুল হোসেন, মাওলানা আজিজুল হক প্রমুখ।