বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, সরকার ফেলানি হত্যা দিবসে ৭ জানুয়ারি পাতানো ডামি নির্বাচন করে ফেলানীর মতোই গণতন্ত্রকে কাঁটাতারে ঝুলিয়েছে।
রোববার (৭ জানুয়ারি) বিকেলে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে বিএনপিসহ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর নির্মম নির্যাতন চালিয়ে ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করার এই সাজানো নির্বাচন করছে সরকার। প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছেন- ‘নৌকার এজেন্ট ছাড়া আর কোনো প্রার্থীর এজেন্ট দেখতে পাচ্ছেন না’। তাহলে ১৮ শতাংশ পার্সেন্ট (সকাল পর্যন্ত) ভোটার কোথা থেকে এলো? এতদিন দেখেছি ভোটকেন্দ্রে মানুষ আসত আজ দেখলাম যশোরের একটি ভোটকেন্দ্রে বানর ভোট দিতে এসেছে।
রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীরাই নির্বাচন বর্জন করছেন এবং মিডিয়াতে বক্তব্য দিচ্ছেন নৌকার প্রার্থীরা তাদের ভোটকেন্দ্র থেকে বের করে দিচ্ছে। কে কে জয়ী হবে তা সরকার আগেই নির্দেশনা দিয়ে দিয়েছেন। সরকার নিজেদের মধ্যে ভোট করছে তবুও পছন্দের প্রার্থীকে জিতানোর জন্য রাতের বেলায় ব্যালট বক্স ভর্তি করে রেখেছেন। আবার কোথাও ৭ বছরের শিশুরাও ভোট দিচ্ছেন। এই হচ্ছে আওয়ামী লীগের সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ কোনোদিন সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারে না। তারা সব সময় ভোট ডাকাতির নির্বাচন করে। শিল্পমন্ত্রীর ছেলে জাল ভোট নিয়ে ধরা পড়েছে। জি এম কাদের বক্তব্যে বলেছেন, ‘এই সরকার নিরপেক্ষ ভোট করতে জানে না’। তারা নির্বাচনে অনিয়ম করবে বলেই অনলাইন পত্রিকাগুলো বন্ধ করে দিয়েছে।
রিজভী আরও বলেন, ভোটকেন্দ্রে ভোটার না আসায় বিভিন্ন অভিনব কায়দা অবলম্বন করছে সরকার। ডামি নির্বাচনের ভোট গ্রহণ হচ্ছে ডামি। এছাড়াও তিনি ভোটের সার্বিক অনিয়ম চিত্র সাংবাদিকদের কাছে তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, আমাদের ভোট বর্জন সার্থক হয়েছে। জনগণ সরকারের এই ডামি নির্বাচন বর্জন করেছে। নির্বাচন বর্জন করার জন্য তারেক রহমান জনগণকে শুভেচ্ছা এবং ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
এছাড়াও তিনি ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাকের বাড়ি ঘর ভাঙচুরসহ দেশব্যাপী বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর মামলা, হামলা, গ্রেপ্তার, আহত-নিহত এবং বাড়িঘর ভাঙচুরের ঘটনা সাংবাদিকদের নিকট তুলে ধরেন। এই সকল ঘটনা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।