ত্রাণের জন্য হাহাকার, হাসপাতালে ভয়াবহ দৃশ্য

0
88

গাজার হাসপাতাল সহ শরণার্থী শিবিরগুলোতে হামলা জোরালো করেছে ইসরাইল। একদিকে ক্ষুধার্ত মানুষ খাদ্যের জন্য, আশ্রয়ের জন্য ছুটছে, তারপর নির্মম বোমা হামলায় উড়ে যাচ্ছে তাদের প্রাণপ্রদীপ। জাবালিয়া ও নুসেইরা শরণার্থী শিবিরে তীব্র হামলা চালাচ্ছে ইসরাইল। গাজার হাসপাতালগুলোকে উড়িয়ে দিচ্ছে। হাসপাতালের যেসব ফুটেজ পাওয়া গেছে তা  অন্তরাত্মাকে কাঁপিয়ে দেয়। আল শিফা হাসপাতালের পরিস্থিতিকে পুরোপুরি একটি ‘হরর সিন’ বলে আখ্যায়িত করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। একই সঙ্গে কামাল আদওয়ান হাসপাতালের ধ্বংসযজ্ঞকে বর্ণনা করেছে ভয়ঙ্কর হিসেবে।

ওদিকে ত্রাণবাহী কোনো ট্রাক দেখলেই ক্ষুধার্ত ও বেপরোয়া ফিলিস্তিনিরা তার ওপর হামলে পড়ছে। একটু পানি বা খাদ্যের আশায় এর পিছনে দৌড়াচ্ছে তারা। হাতের নাগালে পেলে সেই ট্রাক থেকে ত্রাণ লুট করছে। এ খবর দিয়ে অনলাইন আল জাজিরা বলছে, ৭ই অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত ইসরাইলের নৃশংস হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা কমপক্ষে ১৮ হাজার ৭৮৭।

ফিলিস্তিনি মিডিয়া অফিস থেকে বলা হয়েছে, ইসরাইলের হামলায় হানিন আলি আল কুতশান নামে আরও একজন ফিলিস্তিনি সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। এ নিয়ে সেখানে ৯৫ জন সাংবাদিক নিহত হলেন।

নিউ ইয়র্ক ভিত্তিক কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টের প্রস্তুতকৃত আলাদা একটি তালিকা আছে সাংবাদিকদের। তাতে আল কুতশানের নাম নেই। কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টের তালিকায় আছে ৫৭ জন ফিলিস্তিনি, চারজন ইসরাইলি, তিনজন লেবাননি সাংবাদিকের নাম। এক্সে পোস্ট করা ফিলিস্তিনি একটি মিডিয়ার ছবিতে বলা হয়েছে, আল কুতশান কাজ করতেন গাজায় একটি এফএম রেডিও স্টেশনে। নুসেইরা শরণার্থী শিবিরে ইসরাইলের হামলায় তিনি নিহত হন। এ নিয়ে ওই শরণার্থী ক্যাম্পে নিহতের সংখ্যা দাঁড়াল ২৫। এ অবস্থায় গাজায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল কুদরা ইসরাইলের এসব হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন গাজার হাসপাতালগুলোতে হামলা চালিয়ে স্বাস্থ্যখাতকে নির্মূল করতে চাইছে ইসরাইল। তিনি বলেন, দখলদাররা যেটা করছে সেটা হলো আল শিফা কমপ্লেক্স থেকে গাজাকে মুছে দেয়ার চেষ্টা। আল নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্সেও আক্রমণ করেছে তারা। এর মধ্য দিয়ে গাজার স্বাস্থ্যখাতকে একেবারে নিঃশ্বেষ করে দিতে চায় ইসরাইল। রোববার রাতে আল নাসের হাসপাতালের মাতৃত্ব বিষয়ক ওয়ার্ডে হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। এতে একটি শিশু নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন তিনজন। তারা কামাল আদওয়ান এবং আল শিফা হাসপাতালে হামলা চালিয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here