ত্রাণের জন্য অপেক্ষারত অবস্থায় ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। এতে অন্তত ৭৭ জন নিহত হয়েছেন। কামাল আদওয়ান হাসপাতালে মোট ২০টি মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বাকি ৫৭ মরদেহ নেয়া হয়েছে আল-শিফা হাসপাতালে। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এ খবর দিয়েছে আল-জাজিরা।
মন্ত্রণালয়টি ইসরাইলের এই হামলার পর বলেছে, ইসরাইল ঠাণ্ডা মাথায় গণহত্যা চালাচ্ছে। ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও আড়াইশ মানুষ। গাজা সিটির বাইরে খাবারের ট্রাকের পাশে অপেক্ষা করার সময় সেখানে হামলা চালায় ইসরাইলি সেনারা। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, এই হামলা ইসরাইলের গণহত্যারই একটি অংশ। ফিলিস্তিনি জনগণকে বাঁচানোর এখন একমাত্র উপায় হচ্ছে যুদ্ধবিরতি। এ জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে হস্তক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছে ফিলিস্তিন।
এদিকে শত শত বেসামরিক নাগরিকের উপর গুলি চালানোর জন্য ইসরাইলকে যুদ্ধাপরাধের ইতিহাসের সবথেকে জঘন্য গণহত্যার দায়ে অভিযুক্ত করেছে হামাস।
এক বিবৃতিতে ইরান সমর্থিত বাহিনীটি বলেছে, ফিলিস্তিনি জনগণকে তাদের ভূমি থেকে উচ্ছেদ করতেই এই যুদ্ধাপরাধ চালিয়েছে ইসরাইল। এই জাতিগত নিধনজজ্ঞ বন্ধ করতে ইসরাইলকে বাধ্য করার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণে আরব লীগ ও জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে হামাস।
পাশাপাশি বিবৃতিতে আরব দেশগুলোকে নিজের জাতির ওপর গণহত্যা নিয়ে নিরবতা ভাঙার আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি। আরবসহ অন্য ইসলামিক দেশগুলোতে ইসরাইলের এই গণহত্যার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ আয়োজনের অনুরোধ করেছে হামাস। এসব দেশের সরকার যাতে ইসরাইলের নিন্দা জানাতে বাধ্য হয় তার জন্য চাপ সৃষ্টিতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে তারা।