ঢাকার বিভিন্ন স্থানে জামায়াতের গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ

0
85

সরকারের পদত্যাগ, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহাল, প্রহসনের নির্বাচন বর্জন ও ভোট দান হতে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে গণসংযোগ এবং লিফলেট বিতরণ করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মাহনগরী দক্ষিন ও উত্তরের নেতাকর্মীরা।

শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) ৫ দিনের মতো দলের নেতাকর্মীরা এই কর্মসূচি পালন করেন।

এসময় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি দেলাওয়ার হোসেন বলেন, জনগণ এই সরকারের আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত প্রহসনের নির্বাচনের তফসিল প্রত্যাখ্যান করে নিয়মতান্ত্রিকভাবে আন্দোলন করে যাচ্ছে। একতরফা নির্বাচনে জনগণের কোনো অংশগ্রহন নেই। কারণ দেশবাসী জানে ৭ জানুয়ারি মুলত নির্বাচন নয় বরং আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এমপিদের নামের তালিকা আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা করা হবে।

তিনি বলেন, জনগণকে যারা ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত করছে তারা দেশের শত্রু। সরকার গণতান্ত্রিক বিশ্ব থেকে বাংলাদেশকে বিচ্ছিন্ন করে ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করতেই বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে বাদ দিয়ে নির্বাচনের নাটক মঞ্চস্থ করতে যাচ্ছে। সংসদের বিরোধী দল কে হবে? ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিধিদলের এমন প্রশ্নই প্রমাণ করে, সরকার সাজানো ও পাতানো নির্বাচন করছে। জনগণ এই তামাশার নির্বাচন মেনে নিবে না। ফলে নিজ নিজ অবস্থান থেকে সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র গণআন্দোলন গড়ে তুলে এই ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন নিশ্চিত করতে হবে।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের কর্মপরিষদ সদস্য জামাল উদ্দীন বলেছেন, আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক উচ্চাভিলাষ চরিতার্থ করতেই দেশকে বন্ধুহীন রাষ্ট্রে পরিণত করার ষড়যন্ত্র করছে। তারা অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করে দেশকে মাফিয়া রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়। কিন্তু গণতন্ত্রপ্রিয় ও দেশপ্রেমিক জনতা তাদের সে ষড়যন্ত্র কখনই সফল ও সার্থক হতে দেবে না।

জামাল উদ্দীন বলেন, আওয়ামী লীগ নিজেদেরকে স্বাধীনতা স্বপক্ষের শক্তি দাবি করলেও স্বাধীনতা পাঁচ দশক পরেও তারা গণবিরোধিতার অশুভ বৃত্ত থেকে বেড়িয়ে আসতে পারেনি। অবাধ গণতন্ত্র, সাম্য, সামাজিক ন্যায়বিচার ও আইনের শাসন মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম চেতনা হলেও তারা এসবের প্রতি কখনোই শ্রদ্ধাশীল ছিল না বা এখনো নয় বরং তারা যতবারই ক্ষমতায় এসেছে ততবারই দেশের গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, আইনের শাসন ও মানবাধিকারের প্রতি চরম অশ্রদ্ধা প্রদর্শন করেছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here