ঢাকায় কূটনৈতিক অঞ্চলে এবং এর আশেপাশে অগ্নিসংযোগকারী বিস্ফোরকের প্রাপ্ত তথ্যের প্রেক্ষিতে ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের কর্মচারীদের নিজেদের বাসভবনে আশ্রয় নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সামান্য বা কোন ধরনের সতর্কতা ছাড়াই সহিংস ঘটনা ঘটতে পারে এবং সেটা নির্বাচনের দিন বা তার পরবর্তী দিন কিংবা পরবর্তী সপ্তাহগুলোতেও ঘটতে পারে।
রবিবার (০৭ জানুয়ারি) দুপুরে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের এসিএস (আমেরিকান সিটিজেন সার্ভিস) ইউনিট থেকে বাংলাদেশে বাস করা কিংবা অবস্থান করা মার্কিন নাগরিকদের কাছে পাঠানো ইমেইলে এমন সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে। ইংরেজিতে পাঠানো এমন একটি ইমেইল মানবজমিনের কাছে এসেছে যেটি বাংলা করলে দাঁড়ায়ঃ
বাংলাদেশে সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ায় ০৭ জানুয়ারি মার্কিন দূতাবাস পাবলিক সার্ভিসের জন্য বন্ধ আছে। ০৭ জানুয়ারি (এই ইমেইল পাঠানোর) আগে ঢাকার কূটনৈতিক অঞ্চলে এবং এর আশেপাশে অগ্নিসংযোগকারী বিস্ফোরকের এলোমেলো ঘটনাসমূহের প্রাপ্ত তথ্যের প্রেক্ষিতে মার্কিন দূতাবাসের কর্মচারীদের অন্য পরামর্শ না দেওয়া পর্যন্ত নিজেদের বাসভবনে আশ্রয় নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
ধারণা করা হচ্ছে- বাংলাদেশে চলমান নির্বাচন প্রক্রিয়ার সঙ্গে এসব সহিংসতার ঘটনা জড়িত। যে কোনো অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করতে থাকবে মার্কিন দূতাবাস এবং সে অনুযায়ী নিজের ‘অপারেটিং স্ট্যাটাস আপডেট’ করবে।
সতর্কবার্তায় বলা হয়ঃ মার্কিন নাগরিকদের সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। তাদের মনে রাখা উচিত, নির্বাচনী এই চক্র সংঘর্ষে রূপ নিতে পারে এবং সহিংসতায়ও পরিণত হতে পারে। সামান্য বা কোন ধরনের সতর্কতা ছাড়াই সহিংস ঘটনা ঘটতে পারে এবং সেটা নির্বাচনের দিন বা তার পরবর্তী দিন কিংবা পরবর্তী সপ্তাহগুলোতেও ঘটতে পারে। যেকোনো বড় ধরনের সমাবেশের আশেপাশে মার্কিন নাগরিকদের সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। আপনার ব্যক্তিগত নিরাপত্তা পরিকল্পনা পর্যালোচনা করা উচিত; স্থানীয় ঘটনাবলী ছাড়াও আপনার আশেপাশের বিষয়ে সচেতন থাকুন; আপডেটের জন্য স্থানীয় সংবাদমাধ্যম পর্যবেক্ষণ করুন।
আশাবাদ ব্যক্ত করে উক্ত সতর্কবার্তায় আরও বলা হয়েছেঃ বাংলাদেশে অবস্থানরত যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি কর্মীরা ‘চলাচল ও ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা’ মেনে কঠোর নিরাপত্তা নির্দেশিকা অনুযায়ী বসবাস, কাজ এবং ভ্রমণ করবেন। বিক্ষোভ বা নাগরিক অস্থিরতার সময় উক্ত ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞাগুলো বাড়ানো হতে পারে।
উদাহরণস্বরূপ, এর অর্থ হতে পারে ডিপ্লোম্যাটিক এনক্লেভে এবং বারিধারা, গুলশান ও বনানীর আশেপাশের এলাকাগুলোতে অত্যাবশ্যকীয় ছাড়া সব ধরনের ভ্রমণ সীমাবদ্ধ করা। এ ধরনের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার কারণে বাংলাদেশে মার্কিন নাগরিকদের জরুরি পরিষেবা প্রদানে মার্কিন সরকারের সীমিত ক্ষমতা থাকতে পারে।