শান্তিতে নোবেলজয়ী, বাংলাদেশি অর্থনীতিবিদ প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের মামলাটি বিচার বিভাগকে অস্ত্র হিসেবে প্রয়োগের উদাহরণ বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির রাজনীতি ও সরকার বিভাগের ডিস্টিংগুইশড প্রফেসর, আটলান্টিক কাউন্সিলের অনাবাসিক সিনিয়র ফেলো এবং আমেরিকান ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ স্টাডিজের প্রেসিডেন্ট আলী রীয়াজ।
যুক্তরাষ্ট্রের জনপ্রিয় টেলিভিশন নিউজ প্রোগ্রাম ‘পিবিএস নিউজআওয়ার’কে তিনি আরও বলেছেন, শেখ হাসিনা ক্ষমতা দখল করেছেন। ভূ-রাজনৈতিক বাস্তবতায় তিনি পশ্চিমা চাপ প্রতিরোধ করার সুযোগ পাচ্ছেন। ইউনূসের মামলাটি দেশের ভেতর শীতল এক বার্তা দিচ্ছে।
আলী রীয়াজ বলেন, প্রধানমন্ত্রী রাশিয়া এবং চীন দুই শক্তির কাছ থেকে অকুন্ঠ সমর্থন পেয়েছেন। ২০০৯ সাল থেকেই ভারত এই সরকারের প্রধান মদদদাতা। বাংলাদেশিদের জন্য বার্তাটি এই, যদি প্রফেসর ইউনূসকে নির্যাতন করা যেতে পারে এবং তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে, তাহলে আপনিতো কিছুই নন। আমরা যে কোনো কিছু করতে পারি, যে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারি।
সামনের দিনগুলোতে প্রফেসর ইউনূস কিসের মুখোমুখি হতে পারেন? এমন প্রশ্নের জবাবে আলী রীয়াজ বলেন, “আমি ভয় পাচ্ছি যে, তিনি হয়তো জেলে যেতে পারেন। আমার এটা বলতে খারাপ লাগছে। আমার হৃদয় ভেঙ্গে যাচ্ছে, কিন্তু এটা ঘটতে পারে।”
পিবিএস নিউজআওয়ার এর প্রতিবেদনে বলা হয়ঃ সরকারি কর্মকর্তারা জোর দিয়ে বলছেন যে, (দেশের) বিচার প্রক্রিয়া রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ থেকে স্বাধীন। আমরা মন্তব্যের জন্য ওয়াশিংটনে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের সাথে যোগাযোগ করলেও কোনো প্রতিক্রিয়া পাইনি।
প্রফেসর ইউনূস বলেছেন, তিনি বিদেশে আশ্রয়ের বেশ কয়েকটি প্রস্তাব পেয়েছেন। কিন্তু, নির্বাসনের বিষয়টি প্রত্যাখ্যান করেছেন।
তিনি বলেন, “এখানেই আমি আমার লোকদের সাথে কাজ করেছি, যারা বছরের পর বছর ধরে একসাথে কাজ করছে। তাদের ছেড়ে আমি অন্য কোথাও যেতে চাই না। আমি এটা করতে পারবো না।”