আগামী বছরে যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত হবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। আসন্ন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে নির্বাচনে তিনি জয়ী হলে যুক্তরাষ্ট্রে ভবিষ্যৎ নিয়ে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, ট্রাম্প নির্বাচিত হলে যুক্তরাষ্ট্রকে ন্যাটো থেকে বের করে আনবেন তিনি। নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অসংখ্য কূটনীতিক এবং ন্যাটো সদস্য দেশগুলোর আশঙ্কা, ট্রাম্প নির্বাচিত হলে তিনি কেবল ইউক্রেনকে পরিত্যাগই করবেন না, বরং তিনি ইউরোপ মহাদেশ ও ন্যাটো থেকেও যুক্তরাষ্ট্রকে বের করে আনবেন।
অবসরপ্রাপ্ত নৌ অ্যাডমিরাল জেমস স্ট্যাভরিডিস নিউইয়র্ক টাইমসকে বলেন, ট্রাম্পকে নিয়ে ইউরোপে বড় আতঙ্ক রয়েছে। তিনি আবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে যুক্তরাষ্ট্রকে ন্যাটো থেকে বের করে আনবেন। এটি হলে তা মার্কিনিদের জন্য কৌশলগত এবং ঐতিহাসিক ব্যর্থতা হিসেবে চিহ্নিত হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সাথে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জনপ্রিয়তায় ৪ শতাংশ এগিয়ে রয়েছেন। যেখানে ট্রাম্পের জনপ্রিয়তা রয়েছে ৪৭ শতাংশ আর বাইডেনের জনপ্রিয়তা ৪২ শতাংশ। মার্কিন ইতিহাসে প্রথমবারের মতো সাবেক প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জরিপে এগিয়ে রয়েছেন।
জরিপে দেখা গেছে, এ দুই প্রার্থীর চেয়ে বাকিরা আরও অনেক পিছিয়ে রয়েছেন। এ জরিপে সবার চেয়ে এগিয়ে আছেন ট্রাম্প। অন্য প্রার্থীদের মধ্যে যেমন রবার্ট এফ কেনেডি জুনিয়র ৩৭ থেকে ৩১ শতাংশের মধ্যে।
জরিপে বলা হয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের পররাষ্ট্রনীতির মধ্যে আলোচিত বিষয় হলো- মধ্যপ্রাচ্য নীতি ও ইউক্রেনকে সমর্থন। তবে বেশকিছু ক্ষেত্রে তার সমর্থন কমতে শুরু করেছে। যেখানে মাত্র ২৩ শতাংশ লোক বলছেন বাইডেনের নীতি তাদের সাহায্য করেছে। অন্যদিকে ৫৩ শতাংশ লোক বলছেন বাইডেনের নীতির কারণে তারা আহত হয়েছেন।
জরিপে অংশ নেওয়াদের মধ্যে প্রায় অর্ধেক বলছেন যে, ওভাল অফিসে থাকার সময় চার বছরে ট্রাম্পের নীতি তাদের অনেক সাহায্য করেছে। অন্যদিকে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের ক্ষেত্রে এই হার ৩৭ শতাংশ। যেখানে ট্রাম্পের হার ছিল ৬১ শতাংশ।