আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়া জাতীয় পার্টিকে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন যুগপৎ আন্দোলনের শরিক বাংলাদেশ পিপলস পার্টির (বিপিপি) মহাসচিব মো. আব্দুল কাদের।
মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এসব কথা বলেন আব্দুল কাদের।
এর আগে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তপশিল বাতিল এবং একদফা আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় বিএনপিসহ বিরোধীদলগুলোর একাদশ দফায় দেশব্যাপী ৩৬ ঘণ্টা সর্বাত্মক অবরোধের সমর্থনে বিজয়নগর পানির ট্যাঙ্কির সামনে থেকে গণফোরাম (মন্টু) ও বাংলাদেশ পিপলস পার্টির যৌথ উদ্যোগে মিছিল শুরু হয়। এরপর মিছিলটি পুরানা পল্টন মোড় হয়ে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
বিপিপির মহাসচিব আব্দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার সংবিধানের দোহাই দিয়ে পাতানো নির্বাচন করতে যাচ্ছে। কিন্তু এ দেশের মানুষ এবার এ ধরনের কোনো নির্বাচন মানবে না। ২০১৪ সালেও সংবিধানের দোহাই দিয়ে ১৫৩ জন বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদে গিয়েছিলেন, যা বিশ্বের ইতিহাসে বিরল। এ দেশকে লুটপাট করার জন্য, টাকা পাচার করার জন্য বারবার এরা জনগণের সাথে প্রতারণা করে সাজানো নির্বাচন করে।
তিনি বলেন, সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, শাহজাহান ওমর, তৈমূর আলম গংরা বিনা ভোটে এমপি নির্বাচিত হতে আসন্ন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন। তারা জানেন, এই সরকারের অংশ হলেই ৫ বছরে ২শ-৫শ কোটি টাকার মালিক হওয়া যাবে। দশ বছর আগে হলফনামায় যে প্রার্থীর সম্পদ ছিল ২০ লাখ টাকা, আজ তার সম্পদ ৫০ কোটি! এ যেন হরিলুটের কারবার। জাতীয় পার্টিকে বলব- সময় এসেছে জনগণের ঋণ শোধ করার। এবার অন্তত জনগণের বিপক্ষে না গিয়ে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করুন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) উদ্দেশে বিপিপির এই মহাসচিব বলেন, তামাশার তপশিল বাদ দিয়ে নতুন করে তপশিল ঘোষণা করে সব দলকে নিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন, নয়তো জনগণ আপনাকে ক্ষমা করবে না।
গণফোরামের একাংশের সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চৌধুরী বলেন, পুনরায় বিনা ভোটের নির্বাচন করতে যাচ্ছে রাতের ভোটে ক্ষমতা দখল করা ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার। হাজার হাজার লক্ষ-কোটি টাকা লুটপাট করেছে, দেশের সকল প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করেছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দলীয়করণ করেছে। এভাবে একটি রাষ্ট্র চলতে পারে না। জনগণই আওয়ামী লীগ সরকারের দুঃশাসন হটিয়ে দেশে জনগণের সরকার ও শাসন প্রতিষ্ঠা করবে।
বিপিপির কো-চেয়ারম্যান পারভীন নাসের খান ভাসানীর সভাপতিত্বে এবং গণফোরামের তথ্য ও গণমাধ্যম সম্পাদক মুহাম্মদ উল্লাহ মধুর সঞ্চালনায় এতে গণফোরামের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব খান ফারুক, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা হাসান, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ইমাম হোসেন, কামাল উদ্দিন সুমন, শেখ শহিদুল ইসলাম, বিপিপির চেয়ারম্যান বাবুল সরদার চাখারী, ভাইস চেয়ারম্যান খাদিজা, দপ্তর সম্পাদক মো. আনোয়ার মল্লিক, শ্রমবিষয়ক সম্পাদক মো. লিটন জোয়ার্দার, ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক সারোয়ার হোসেন উৎসব প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।