জনগণ শিগগিরই আ.লীগকে পতনের গ্যারান্টি কার্ড ধরিয়ে দেবে : ১২ দল

0
105

১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা বলেছেন, দেশের জনগণ এই সরকারকে আর এক মুহূর্তও রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় দেখতে চায় না, তাদের ওপর আর বিন্দুমাত্র আস্থা রাখতে পারছে না। দেশের অর্থনীতি ও জনগণের জীবন-জীবিকা এই সরকার ধ্বংস করে দিয়েছে। জনগণ এই সরকারের কাছ থেকে এখন মুক্তি চায়।

তারা আরও বলেন, এই সরকারের আর ক্ষমতায় থাকার গ্যারান্টি নেই। শিগগিরই জনগণ পতনের গ্যারান্টি কার্ড আওয়ামী লীগের হাতে ধরিয়ে দেবে।

বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর ডাকে একদফা দাবিতে অসহযোগ আন্দোলনের পক্ষে জনমত তৈরিতে রাজধানীর তোপখানা রোড ও বিজয়নগর এলাকায় গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণকালে এসব কথা বলেন ১২ দলীয় জোটের নেতারা।

জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) প্রেসিডিয়াম সদস্য নওয়াব আলী আব্বাস খান বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার এখন দেশে-বিদেশে অকেজো সরকার হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। এই সরকারের আর ক্ষমতায় থাকার গ্যারান্টি নেই, তবে শিগগিরই জনগণ পতনের গ্যারান্টি কার্ড আওয়ামী লীগের হাতে ধরিয়ে দেবে। ভালোই ভালোই পদত্যাগ করুন।

জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপার সহসভাপতি ও ১২ দলীয় জোটের প্রধান সমন্বয়ক রাশেদ প্রধান বলেন, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের দাবি উপেক্ষা করে রাজনৈতিক দমনপীড়নের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকার আবারও একতরফা পাতানো দামি নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু দেশের জনগণ এবার আর এ ধরনের কোনো প্রহসনের নির্বাচন হতে দেবে না। শিগগিরই জনগণ পতনের গ্যারান্টি কার্ড আওয়ামী লীগের হাতে ধরিয়ে দেবে।

লিফলেট বিতরণ শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব ও ১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র শাহাদাত হোসেন সেলিম, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা মুফতি মহিউদ্দিন ইকরাম, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মো. ফারুক রহমান, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. শামসুদ্দীন পারভেজ, বাংলাদেশ জাতীয় দলের ভাইস চেয়ারম্যান শামসুল আহাদ।

কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির (জাফর) হান্নান আহমেদ বাবলু, বাংলাদেশ এলডিপির এম এ বাশার, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের এম এ কাশেম ইসলামাবাদী, বাংলাদেশ লেবার পার্টির শরীফুল ইসলাম, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির আবু মোহাম্মদ হানিফ, বাংলাদেশ জাতীয় দলের আবু মনসুর ভুইয়া, যুব জাগপার মনোয়ার হোসেন, বাংলাদেশ এলডিপি যুবদলের ফয়সাল আহমেদ, ছাত্র সমাজের কাজী ফয়েজ আহমেদ, ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশের নিজাম উদ্দিন আল আদনান প্রমুখ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here