ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) চার নেতাকে গুলি করে হত্যার প্রতিবাদে খাগড়াছড়িতে অবরোধ চলছে। ইউপিডিএফের ডাকা অবরোধে সোমবার সকাল থেকে জেলার সড়কগুলোয় দূরপাল্লার বাসসহ সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
এদিকে সকাল-সন্ধ্যা অবরোধের সমর্থনে পানছড়ি-খাগড়াছড়ি সড়কের নারানখাইয়া, স্বনির্ভর, পেরাছড়া, গাছবান, শহরের চেঙ্গী ব্রিজসহ বেশ কয়েকটি স্থানে সড়কের টায়ার জ্বালিয়ে পিকেটিং করতে দেখা গেছে। এর আগে রাতে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা যাত্রীবাহী বাসগুলো সকাল ৬টার আগে পুলিশের পাহারায় শহরে প্রবেশ করে।
এর আগে রোববার হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে পানছড়ি উপজেলায় দিনব্যাপী সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন ইউপিডিএফের নেতা-কর্মীরা।
খাগড়াছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভীর হাসান বলেন, কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোয় পুলিশ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।
সূত্র জানায়, গত ১১ই ডিসেম্বর রাত ১০টার দিকে পানছড়ি উপজেলার দুর্গম লোগাং ইউনিয়নের অনিলপাড়ায় ইউপিডিএফের চার নেতা দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হন। তারা হলেন- ইউপিডিএফের যুব সংগঠন গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের সাংগঠনিক সম্পাদক বিপুল চাকমা (৩২), গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের জেলা সহসভাপতি লিটন চাকমা (২৯), ইউপিডিএফ–সমর্থিত পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের (পিসিপি) কেন্দ্রীয় সহসভাপতি সুনীল ত্রিপুরা (২৯) ও ইউপিডিএফের সদস্য রুহিন বিকাশ ত্রিপুরা (৪৯)।
এ ঘটনায় নিহত বিপুল চাকমার চাচা নিরুপম চাকমা বাদী হয়ে গত বুধবার পানছড়ি থানায় অজ্ঞাতনামা ১৫ থেকে ২০ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন।