সরকারের চারদিক থেকে বিপদ ধেয়ে আসছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেছেন, চুরি-চামারির নির্বাচন করে এতো আহ্লাদিত হওয়ার কিছু নেই। চারদিকে চেয়ে দেখুন বিপদ ধেয়ে আসছে। সকল বিরোধী দলের নেতাকে বন্দি রেখে নিজেরা নিজেরা নির্বাচন করেছেন। আমরা-মামুরা নির্বাচনেও আওয়ামী লীগের যারাই হেরেছে তারাই এখন বলছেন যে, প্রশাসনকে দিয়ে তাদেরকে পরাজিত করা হয়েছে। অর্থাৎ, আগে থেকেই ডিসিদের বলে দিয়েছে যে, সরকার এগুলো চায়। এ ধরনের বক্তব্য এখন আওয়ামী লীগের নেতা ও সরকারি আমলারাও বলছেন। এ সংক্রান্ত অডিও-ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। বুধবার বিকেলে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। রিজভী বলেন, গত ৭ই জানুয়ারি ভোটারবিহীন নির্বাচনে গোটা বিশ্ব কিন্তু হাততালি দেয়নি।
তারা মুচকি হেসেছে। কারণ, এদের তো মনুষ্যত্ব নেই। এই সরকার তো দুর্নীতির মহাসাগরে ভাসছে। তাদের সোনার তরী তো দুর্নীতিতে ভরা। দুর্নীতি হলো এই সরকারের ভূষণ। তারাই নাকি এবার দুর্নীতির বিরুদ্ধে খেলবেন। আমরা অনেক নাটক-যাত্রার নাম শুনেছি। কিন্তু আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের মতো যাত্রার ঢংয়ের সংলাপ দেশবাসী আর মেনে নেবে না। জনগণ আর সইবে না।
রিজভী সরকারের উদ্দেশ্যে রিজভী বলেন, এ ধরনের নির্বাচনের মাধ্যমে শেখ হাসিনার একটা উদ্দেশ্য রয়েছে। সেটা হলো- বাকশাল-২ প্রতিষ্ঠা করা। নির্বাচনের তামাশা দেখিয়ে তিনি আজীবন ক্ষমতা ধরে রাখতে চান। বাকশালকে সফল করতেই তিনি এ ধরনের প্রতারণার নির্বাচন করছেন। আজকে পুরোনো পোশাকে নতুন ভূত। দেখা যাচ্ছে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা লাইন ধরে শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছে। এটা তো বাকশালেরই নিদর্শন। তিনি বলেন, সরকার যেন ভেবেছে তাদের পতন নেই। সেজন্যই বিরোধী দলকে নিশ্চিহ্ন করতে উঠেপড়ে লেগেছে। ছাত্রলীগ-যুবলীগকে তো লেলিয়ে দিয়েছেই, সঙ্গে তাদের দলদাস পুলিশ প্রশাসনকেও লেলিয়ে দিয়েছে।
কারাগারে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও সাবেক এমপি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের ডিভিশন বাতিল করায় নিন্দা জানান রিজভী। এছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থানে লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগকালে গ্রেপ্তার, হামলা-মামলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে মোট গ্রেপ্তার ৪০ জনের অধিক নেতাকর্মী, মোট ২টি মামলায় আসামি ১৩৫ জনের অধিক নেতাকর্মী, আহত ১৫ জনের অধিক নেতাকর্মী। গত ১৫ নভেম্বর নির্বাচনী তফসিলের পর থেকে মোট গ্রেপ্তার ১৩ হাজার ৪৬৪ জনের অধিক, মোট মামলা ৫০১টি, মোট আসামি ৫২ হাজার ৪৭৭ জনের অধিক নেতাকর্মী ও মোট আহত ২০৬৭ জনের অধিক নেতাকর্মী এবং মোট মৃত্যু ১৫ জন।’