গ্রেফতার হয়রানির শিকার হচ্ছেন কারা?

0
112

অলিউল্লাহ নোমান 

সরকারের পলিসিটা খুবই লক্ষ্যনীয় বিষয়। হয়ত শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত চাকর বা তোষামোদকারী এই পলিসি তৈরি করে দিয়েছেন! কারণ, জেলায় জেলায় সাধারণ নিরীহ কর্মীদের শুধু ধরতেছে।

প্রশ্ন হচ্ছে, সারা দেশে কয়টা জেলায় জেলা সভাপতি/সেক্রেটারি, আহ্বায়ক গ্রেফতার হয়েছেন? কতজন সভাপতি/সেক্রেটারি ও আহ্বায়ক তার অনুসারিদের নিয়ে রাজপথে নামেন অবরোধ-হরতাল সফল করতে?

গ্রেফতার হয়রানির শিকার হচ্ছেন কারা? 

এরকম একটি তালিকা যদি কেউ করেন দেখতে পাবেন নিবেদিত প্রাণ কর্মীরা বছরের পর বছর ঘরে থাকতে পারছেন না। কারাগারে অসহায় অবস্থায় আছেন নিরীহ কর্মীরা।

আমার এক ছোটভাই কারাগারে থাকার কারণে প্রতিদিন খবর রাখতে গিয়ে যা শুনি আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করা ছাডা নিরীহ এই কর্মীদের কষ্টের কথা কারো কাছে বলার জায়গা নেই।

এবার যদি বলেন, দলের মনোনয়ন দেওয়া হবে। দেখবেন প্রতি আসনে দীর্ঘ তালিকা। প্রশ্ন হচ্ছে তাঁরাই বা কোথায়?

সব এমপি মনোনয়ন প্রত্যাশিরাও যদি নিজ নিজ অনুসারীদের নিয়ে রাস্তায় বের হন প্রতিটি উপজেলা অচল হয়ে যাওয়ার কথা! কিন্তু কই! কোন উপজেলায় তো এমন চিত্র দেখা যায় না।

প্রশ্ন হতে পারে তাহলে এখন কি হবে? 

উত্তর হচ্ছে, রাস্তা দখলে নিতে না পারলে কিছুই হবে না।

তাহলে আমেরিকা কিছু করবে না? পাল্টা প্রশ্ন করা হবে তখন।

ও আমেরিকা তো নিজের স্বারথে যতটুকু করা দরকার ততটুকু করবে। তারা ইসলামে ফোভিয়ায় আক্রান্ত। সুতরাং বাংলাদেশে তারা বুঝে-শোনে করবে।

কেউ হয়ত বলবেন আমেরিকা চাইলে অনেক কিছু করতে পারে। পাকিস্তানে করেছে।

ও আচ্ছা। পারিস্তানের মত সেনাবাহিনী কি বাংলাদেশে আছে? পাল্টা প্রশ্ন তখন। সেখানে সেনাবাহিনী, প্রধান বিচারপতি এক হযেছে। তারপরও ইমরানের জোটের ২২ এমপিকে কিনতে হয়েছে। তখন মাত্র ২ ভোটে পরাজিত করা সম্ভব হয়েছে পারলামেন্টে।

এবার প্রশ্ন হচ্ছে, শেখ হাসিনা কি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বা প্রধান বিচারপতির উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছেন? বাংলাদেশে কি এরকম একটা ঝুলন্ত পারলামেন্ট আছে? তাহলে পাকিস্তানের মত কেমনে করবে?

তখন প্রশ্ন করা হয়, ভাই আমেরিকা কি অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা দিবে না? 

হুমম, দিবে। তাতে কি হবে? দেশের মানুষের কষ্ট হবে। তাতে হাসিনার কি ক্ষতি হবে? হাসিনা যত টাকা লুটে বিদেশে পাচার করেছে তাতে পরবর্তী চৌদ্দ জেনারেশন বসে বসে খেতে পারবে। তার আত্মীয়স্বজনরাও অনুরূপ লুটে নিয়েছেন।

সুতরাং অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা দিলে প্রথম দিন শেখ হাসিনা রাজহংসের মাংস ভূনা খাবে এবং আনন্দ উল্লাস করবে।

তাহলে কেমনে কি হবে? 

আরে ভাই, শেখ হাসিনার লক্ষ্য দেশটাকে অকার্যকর রাষ্ট্র হিসাবে প্রমান করা। এটা করতে পারলেই দেশটা ইন্ডিয়ার হাতে তুলে দেবে। আর অকার্যকর রাষ্ট্র বানানোর আগে যদি কঠিন কোন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয় তাহলে ইন্ডিয়না সেনাবাহিনী ডাকবে।

তাহলে কি আমাদের মুক্তি মিলবে না? 

অবশ্যই মুক্তি মিলবে। দেশ বাচানোর জন্য সবাইকে উদ্ভুদ্ধ করতে হবে। ভোটের অধিকার শুধু নয়, মানুষকে বোঝাতে হবে দেশে সারবভৌমত্ব ইন্ডিয়ার নিয়ন্ত্রনে চলে গেছে।

যখন মানুষ বুঝবে স্বাধীনতা দিল্লী থেকে ফিরিয়ে আনতে হবে। তখনই মানুষ নিঃস্বারথভাবে রাজপথে আসবে। এর আগে নয়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here