গ্যাস সংকটে কলকারখানার পাশাপাশি এবার বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কার কথা জানিয়েছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়। শনিবার মন্ত্রণালয়ের অফিসিয়াল ফেসবুকে দেয়া বার্তায় বলা হয়, মহেশখালীস্থ ভাসমান এলএনজি টার্মিনালের কারিগরি ত্রুটির কারণে এলএনজি সরবরাহে বিঘ্ন ঘটায় বর্তমানে গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কিছুটা কম হচ্ছে। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে অতিদ্রুত সমাধানে কাজ করছে মন্ত্রণালয়। এই পরিস্থিতিতে দেশের কিছু কিছু এলাকাতে খুবই স্বল্প সময়ের জন্য বিদ্যুৎ বিভ্রাট হতে পারে। সম্মানিত গ্রাহকদের অনাকাক্সিক্ষত অসুবিধার জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত।
মন্ত্রণালয় থেকে ফেসবুক বার্তায় শুক্রবার বলা হয়, মহেশখালীস্থ ভাসমান এলএনজি টার্মিনালের কারিগরি ত্রুটির কারণে চট্টগ্রাম এলাকায় সকাল থেকে গ্যাস সরবরাহ সাময়িকভাবে বন্ধ রয়েছে এবং দেশের অন্যান্য এলাকায় শীতের কারণে গ্যাসের স্বল্প চাপ বিরাজ করছে। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে অতিদ্রুত মেরামতের লক্ষ্যে কাজ করছে মন্ত্রণালয়।
এতে আরও বলা হয়, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগ, পেট্রোবাংলা এবং কোম্পানিসমূহ সার্বক্ষণিক তদারকি করছে। দেশীয় গ্যাস উৎপাদন ও সরবরাহ অব্যাহত রয়েছে। সম্মানিত গ্রাহকদের সাময়িক অসুবিধার জন্য বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয় আন্তরিকভাবে দুঃখিত।
ইতিমধ্যে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় লোডশেডিংয়ের কবলে পড়েছেন বাসিন্দারা। শনিবার দুপুরের পর থেকেই সারা দেশে প্রায় ৭০০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের ঘাটতি দেখা গেছে। বেলা ২টার দিকে ৯ হাজার ৬৪০ মেগাওয়াট চাহিদার বিপরীতে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়েছিল ৮ হাজার ৯২৬ মেগাওয়াট।