গণতন্ত্র মঞ্চের গণসংযোগে পুলিশের বাধা

0
115

রাজধানীর মতিঝিলে গণতন্ত্র মঞ্চের গণসংযোগে বাধা দিয়েছে পুলিশ। গণসংযোগপূর্ব সমাবেশ শেষে নেতাকর্মীরা মিছিল শুরু করতে গেলে পুলিশের বাধার সম্মুখীন হন। এতে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হকসহ বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এর আগে সমাবেশস্থলে আসার পথে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) মিছিলে কয়েক দফায় বাধা দেয়া হয় এবং ব্যানার কেড়ে নেয়া হয়।

মঙ্গলবার দুপুরে ‘একতরফা ভোট বর্জন করুন’ এই আহ্বানে মতিঝিল বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে থেকে গণতন্ত্র মঞ্চের গণসংযোগপূর্ব সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার। এতে আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সাংগঠনিক সমন্বয়ক ইমরান ইমন ও ভাসানী অনুসারী পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক ড. আবু ইউসুফ সেলিম।

সমাবেশে নেতৃবৃন্দ জেএসডির মিছিলে পুলিশের হামলার নিন্দা জানিয়ে বলেন, আওয়ামী লীগ বলছে ভোট কেন্দ্রে ভোটার আনাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হলে ভোটার  উৎসব করে ভোট দিতে যায়।  সামাজিক নিরাপত্তারক্ষীদের কার্ড জমা রেখে ভোট কেন্দ্রে যেতে বাধ্য করতে চাচ্ছে।

তারা বলেন, সরকার একটা ডামি নির্বাচন আয়োজন করতে পুলিশ, প্রশাসনকে দলীয় অঙ্গসংগঠনের মতো ব্যবহার করছে। পুলিশ-গোয়েন্দা সংস্থা ও বিভিন্ন বাহিনীকে দিয়ে আওয়ামী লীগ এখন জনগণকে জোর করে ভোট কেন্দ্রে নিতে চায়। স্বৈরাচারের ঐতিহাসিক পরিণতির জন্য আপনাদের অপেক্ষা করতে হবে।

সিপিডির গবেষণায় দেখা গেছে, লক্ষ কোটি টাকা লুট হয়েছে। রাজনৈতিক বাগাড়ম্বর বাদ দিয়ে যথাযথ অনুসন্ধান করুন। অর্থমন্ত্রীর দেখা নাই, বাজেটের পর থেকে। সরকারের স্বেচ্ছাচারিতায় দেশ আরো বিপদে পরবে। এর জন্য দায়ী থাকবেন বর্তমান সরকার।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, অবিলম্বে সংসদ ভেঙে দিন। সকল দলের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে সংবিধানের ১২৩(৩)এর (খ) অনুযায়ী পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচনের আয়োজন করুন। অন্যথায় দেশকে ভয়াবহ সংকট থেকে উদ্ধার করা যাবে না।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here