৭ জানুয়ারির ‘নির্বাচনী তামাশার’ মধ্য দিয়ে গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছে এমন অভিযোগ করে ১২ দলীয় জোটের নেতারা বলেছেন, গণতন্ত্র পুনরুজ্জীবিত করতে স্বাভাবিক ও নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের সকল পথ ও উপায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এখন জাতির সামনে আরেকটি মুক্তিযুদ্ধের ডাক দেওয়া ছাড়া মুক্তির কোনো বিকল্প পথ নেই।
তারা আরও বলেন, জনগণকে সাথে নিয়ে আমরা রাজপথে আছি, রাজপথে থাকব। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত জনগণের আন্দোলন চলবে।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদ; দ্বাদশ সংসদ বাতিল, খালেদা জিয়াসহ সব রাজনৈতিক বন্দির মুক্তি এবং সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর বিজয়নগর থেকে ১২ দলীয় জোট কালো পতাকা মিছিল বের করে। মিছিলটি পুরানা পল্টনের আল-রাজি কমপ্লেক্সের সামনে গেলে তা পুলিশের বাধার মুখে পড়ে। সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে জোটের নেতারা এসব কথা বলেন।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র ও বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা, জমিয়াতে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাড. শফি উদ্দিন ভূঁইয়া, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সিনিয়র সহ-সভাপতি রাশেদ প্রধান, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার লায়ন ফারুক রহমান, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির একাংশের চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন পারভেজ, ইসলামি ঐক্যজোটের মহাসচিব মাওলানা আব্দুল করিম প্রমুখ।
জোটের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ বলেন, তথাকথিত ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে আজ অবৈধ সংসদ অধিবেশন বসছে। এই প্রহসনের সংসদকে দেশবাসীসহ সমস্ত গণতান্ত্রিক বিশ্ব নিন্দা ও ধিক্কার জানাচ্ছে। আমরা দাবি জানাচ্ছি, অবিলম্বে এই সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হোক।
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে নেতারা বলেন, তথাকথিত উন্নয়নের নামে লুটপাট করে দেশের অর্থনীতিকে রক্তশূন্য করে ফেলা হয়েছে। ব্যাংকগুলোকে ফোকলা করে ফেলেছে। বিদেশি ঋণের পাহাড়ের নিচে দেশ দেউলিয়ার পথে। সংকট উত্তোরণে আন্দোলনে এই সরকারকে বিদায় করতে হবে।
কর্মসূচিতে জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) কাজী মো. নজরুল, বাংলাদেশ এলডিপির তমিজ উদ্দিন টিটু, মো. ফরিদ উদ্দিন, যুব জাগপার নজরুল ইসলাম বাবলু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।