১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়ার জনপ্রিয়তায় এই সরকারের অন্তর জ্বালা। তাই গত ২৩ ডিসেম্বর ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে খালেদা জিয়ার চিকিৎসাধীন কক্ষে ‘সুজন’ নামে এক যুবকের অনুপ্রবেশের চেষ্টা তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে করা হয়েছে। বেগম জিয়ার নিরাপত্তায় সরকারিভাবে পুলিশের একটি নিয়মিত কর্তব্যরত ফোর্স হাসপাতালে থাকার পরেও এমন ঘটনা জনমনে গভীর উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে।
তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার কিছু হলে দায় এই সরকারের। সেক্ষেত্রে এই সরকারের পরিণতি কেমন হবে, তা সময়ই বলে দিবে।
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম বলেন, এই সরকার জনগণের সাথে গত পনের বছর ধরে প্রতারণা করে আসছে। ঘরে ঘরে চাকরি দিতে পারে নাই। ১০ টাকা কেজি চাল খাওয়াতে পারে নাই। তারা লুটপাট করে দেশের টাকা বিদেশে পাচার করে দিয়েছে। সুতরাং আওয়ামী লীগকে প্রতিহত করুন।
১২ দলীয় জোটের প্রধান সমন্বয়ক ও জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপার সহসভাপতি রাশেদ প্রধান বলেন, এই সরকার রাজনৈতিক দমনপীড়নের মধ্য দিয়ে একতরফা, ডামি, পাতানো নির্বাচনের আয়োজন করেছে। কিন্তু জনগণ এবার এদেশে কোনো প্রহসনের নির্বাচন হতে দেবে না। ৭ জানুয়ারি তারা ভোট বর্জন করবে। তিনি অবিলম্বে বেগম খালেদা জিয়াসহ সকল রাজবন্দির নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) হান্নান আহমেদ বাবলু, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মো. ফারুক রহমান, বাংলাদেশ এলডিপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এম এ বাশার, বাংলাদেশ জাতীয় দলের ভাইস চেয়ারম্যান শামসুল আহাদ, ইসলামি ঐক্যজোটের মহাসচিব মাওলানা আব্দুল করিম, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. শামসুদ্দীন পারভেজ।
কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ এলডিপির মো. ফরিদ উদ্দিন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের আতাউর রহমান খান, এম কাশেম ইসলামাবাদী, বাংলাদেশ জাতীয় দলের বেলায়েত হোসেন শামীম, আবুল মনসুর, ইসলামি ঐক্য জোটের শওকত আমিন, বাংলাদেশ লেবার পার্টির শরিফুল ইসলাম, হাবিবুর রহমান, মো. মিলন, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মুহাম্মদ আবু হানিফ, শফিকুল ইসলাম, আবু ইউসুফ, ওমর রাজি, জাগপার মনোয়ার হোসেন, মো. সাজু মিয়া, ছাত্র সমাজের কাজী ফয়েজ আহমেদ, মেহেদী হাসান, ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশের নিজাম উদ্দিন আল আদনান, হাফেজ খালেদ মাহমুদ প্রমুখ।