জামায়াত সম্পর্কে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্য বেআইনি, অগণতান্ত্রিক ও অসাংবিধানিক বলে মন্তব্য করেছেন দলটির সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। রোববার এক বিবৃতিতে এ মন্তব্য করেন তিনি।
মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, গত ২০শে এপ্রিল আওয়ামী লীগের সভানেত্রীর ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে দলটির সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ‘জামায়াত নিবন্ধিত দল নয়, তাই প্রকাশ্যে রাজনীতিতে আসার সুযোগ নেই’ মর্মে যে বেআইনি, অগণতান্ত্রিক ও অসাংবিধানিক বক্তব্য প্রদান করেছেন আমি তার এ বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
গোলাম পরওয়ার বলেন, জামায়াত একটি নিয়মতান্ত্রিক ও গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল। প্রহসনের নির্বাচন ব্যতীত অতীতে প্রত্যেকটি জাতীয় নির্বাচনে জামায়াত অংশগ্রহণ করেছে এবং জাতীয় সংসদে জামায়াতের প্রতিনিধিত্ব ছিল। অতীতে উপজেলা নির্বাচনেও জামায়াতের বিপুল সংখ্যক প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়ে জনগণের সেবা করেছেন। একটি নির্বাচনমুখী দল হিসেবে জামায়াত নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের নেতৃত্ব পরিবর্তনের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। জামায়াতের অব্যাহত জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে সরকারের মদদে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিলের জন্য পরিকল্পিতভাবে মামলা দায়ের করা হয়। মামলাটি শুনানি ব্যতিরেকে ‘ডিসমিস ফর ডিফল্ট’ করা হয়।
তিনি আরও বলেন, জামায়াতের রাজনীতি করা ও মানবতার কল্যাণে ভূমিকা রাখার ব্যাপারে কোনো আইনি প্রতিবন্ধকতা নেই। সেতুমন্ত্রীর এই বক্তব্য সম্পূর্ণ বেআইনি, অগণতান্ত্রিক ও অসাংবিধানিক। জামায়াত দেশের আইন ও সংবিধান মেনেই এদেশে প্রকাশ্যে রাজনীতি করে আসছে। এতে বাধা দেয়ার এখতিয়ার কারো নেই।
জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, সরকার বিগত ১৫ বছর যাবৎ বাংলাদেশে বিরোধী মতের কাউকে রাজনীতি করতে দিচ্ছে না।
এমনকি কথা বলার অধিকারও হরণ করা হয়েছে। ওবায়দুল কাদের জামায়াতকে টার্গেট করে যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে। জামায়াতের রাজনীতি জনগণের কল্যাণে এবং জনগণ জামায়াতের সঙ্গে রয়েছে। অতএব, কোনো মন্ত্রীর জামায়াতের রাজনীতি নিয়ে বক্তব্য জনগণের মধ্যে কোনো প্রভাব ফেলবে না। বরং কোনো রাজনৈতিক দলকে রাজনীতি করতে না দেয়ার মানসিকতা তাদের গণবিচ্ছিন্ন করবে। ওবায়দুল কাদেরের এ বক্তব্য তাদের রাজনীতির দেউলিয়াত্বের পরিচয় মাত্র। জামায়াত সম্পর্কে এ ধরনের বেআইনি, অগণতান্ত্রিক ও অসাংবিধানিক বক্তব্য প্রদান করা থেকে বিরত থাকার জন্য আমরা ওবায়দুল কাদেরের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।