পহেলা বৈশাখ নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্য দুরভিসন্ধিমূলক বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে রোববার (১৪ এপ্রিল) বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দলের অঙ্গ-সংগঠন জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা-জাসাসের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন তিনি।
জাসাসের যুগ্ম আহবায়ক লিয়াকত আলী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন- ‘বিএনপি বাঙালি সংস্কৃতিকে সহ্য করতে পারে না।’ আমরা বলব, ওয়ায়দুল কাদের তলে তলে প্রভুদের খুশি করতে চাইছেন। তার বক্তব্য উদ্দেশ্যমূলক।
সরকার সংস্কৃতি পরিবর্তনের চেষ্টা করছে এমন অভিযোগ করে তিনি বলেন, ওবায়দুল কাদের সাহেবের কাছে জানতে চাই- ‘আপনি কোন সংস্কৃতিতে বিশ্বাস করেন? বিএনপি এক হাজার ইফতার পার্টি করতেই পারে। গরিব-দুঃখীদের নিয়ে ইফতার করেছে। আপনারা অন্য দেশ থেকে নায়ক-নায়িকা নিয়ে এসে পার্টি করেন, ওখানে টাকা খরচ হয় না?’
বিএনপির এই নেতা বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে ভাষা, সংস্কৃতি, স্বাধীনতার নিরাপত্তা নেই। সরকার আজকে সংস্কৃতিকে পরিবর্তনের চেষ্টা করছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সঙ্গে বিএনপি জড়িত উল্লেখ করে রিজভী বলেন, ‘যারা গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে চায়, তারা কেউ ভালো নেই।’ সব জায়গায় লুটপাটের ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, চালের দাম চড়া। চালের দাম কমানোর কথা বলে সরকার দাম আরও বাড়িয়েছে। সরকারের লোকজন সিন্ডিকেট করে বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে। সিন্ডিকেন্ডের কারণে ব্যাংকগুলো মুখ থুবড়ে পড়ছে। ব্যাংক একত্রিতকরণ করার নামে লুট হওয়া ব্যাংকগুলোকে আরও দেউলিয়া করার সুযোগ করে দিচ্ছে। ঋণখেলাপিরা সরকারের ঘনিষ্ঠ লোক। ঋণের পর ঋণ নেওয়ার ব্যবস্থা করে দেওয়া হচ্ছে তাদের।
তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে এবার ঈদে কেনাকাটা অনেক কম হয়েছে। সব মিলিয়ে ঈদে সাধারণ মানুষদের আনন্দ কান্নায় পরিণত হয়েছে।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম বলেন, বাংলাদেশের মানুষ ভালো নেই, তাদের ঈদ আনন্দ বিষাদে পরিণত হয়েছে। আর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের শুধু বিএনপিকে খুঁজে। ঈদের আগেও বিএনপিকে খোঁজে, আবার নববর্ষেও খোঁজে।