১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ বলেছেন, ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনে জনগণকে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে। এবারও একতরফা, ডামি, প্রহসনের নির্বাচন আয়োজন করেছে। কিন্তু জনগণ এবার আওয়ামী লীগকে প্রত্যাখ্যান করেছে। আগামী ৭ জানুয়ারি তারা ভোটকেন্দ্রে যাবেন না।
বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর পেট্রো বাংলা, কারওয়ান বাজার এলাকায় ১২ দলীয় জোট আয়োজিত গণসংযোগ ও প্রচারপত্র বিতরণকালে নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন। তারা বলেন, তবে ডামি নির্বাচনে কারা কারা এমপি হবেন- সেই তালিকা ইতোমধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে চূড়ান্ত করা হয়েছে।
১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র ও বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, ডামি নির্বাচনে কারা কারা এমপি হবেন- সেই তালিকা ইতোমধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে চূড়ান্ত করা হয়েছে। ৭ তারিখ সন্ধ্যায় এমপিদের নাম ঘোষণা করার জন্য হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করে এই নির্বাচনী আয়োজন করা হয়েছে। তবে দেশের জনগণ ইতোমধ্যে একতরফা নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে। এই সরকারের বিদায় খুবই নিকটে। ইনশাআল্লাহ জনগণের বিজয় সুনিশ্চিত।
জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) প্রেসিডিয়াম সদস্য নওয়াব আলী আব্বাস খান বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের বিদায়ের ঘণ্টা বেজে গেছে। জনগণ এই সরকার ও প্রহসনের নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে।
১২ দলীয় জোটের প্রধান সমন্বয়ক ও জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) সহসভাপতি রাশেদ প্রধান বলেন, আওয়ামী লীগ একটি নির্লজ্জ রাজনৈতিক দল। তাদের রাজনৈতিক কোনো চরিত্র নেই। এরা ভোটের আগে জনগণের পায়ে ধরে, আর ভোটের পরে বুকে গুলি করে। আওয়ামী লীগ সরকার ভোটের আগে আলেমদের সালাম দেয় এবং ভোটের পরে কারাগারে পাঠায়। জনগণ এই চরিত্র ধরে ফেলেছে। তারা আওয়ামী লীগকে আর ক্ষমতায় না রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।