পাল্টা কর্মসূচি দিয়ে ৩০ জানুয়ারির কালো পতাকা মিছিলের কর্মসূচি বন্ধ করা যাবে না বলে ক্ষমতাসীনদের প্রতি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক।
রোববার (২৮ জানুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক অনুষ্ঠানে এই হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাহেব আপনি বারবারই একই কথা বলেন… খেলা হবে, রাজনৈতিক খেলা হবে। আরে ভাই, খেলতে হলে খেলোয়াড় লাগে… । আপনারা তো খেলোয়াড় না … আপনাদের সাথে কী খেলব? আপনি আমাদের লেজের সাথে লেগেই আছেন।
বিএনপি গতকাল বিকাল ৩টায় প্রোগ্রাম দিয়েছে কালো পতাকা মিছিলের… আওয়ামী লীগ তারপরে বিকাল ৪টায় প্রোগ্রাম দিয়েছে। আমরা বলে দিতে চাই, আমাদের লেজে লেজে থেকে বিএনপির কালো পতাকা মিছিল প্রতিরোধ করতে আপনারা পারবেন না। বাংলাদেশের মানুষ এই নির্বাচন (৭ জানুয়ারি) কে প্রত্যাখ্যান করেছে… তাই ৩০ জানুয়ারি জনগণ কালো পতাকা দেখিয়ে আবারও আপনাদের প্রতি ধিক্কার জানাবে।
গতকাল শনিবার নয়াপল্টনের কালো পতাকা মিছিল পূর্ব সমাবেশ থেকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় আগামী ৩০ জানুয়ারি দ্বাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশনের দিন ঢাকাসহ সারা দেশের মহানগর, জেলা, উপজেলা, থানা, পৌর সভার সব ইউনিটে কালো পতাকা মিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
সাবেক বিরোধী দলের প্রধান হুইপ ফারুক বলেন, এই সরকার গণতন্ত্রের বিশ্বাস করে না। তারা ডামি ভাইয়ে ভাইয়ে যে নির্বাচন করেছে সেই নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে যায়নি। সেই নির্বাচনে বিশ্বের গণতান্ত্রিক দেশগুলো গ্রহণ করে নাই। তাই এই নির্বাচন জনগণ মানে না। সরকারকে বলি, এখনো সময় আছে… এই অবৈধ সংসদ বাতিল করুন, নিজেরা পদত্যাগ করুন। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার গঠন করুন। আসন্ন রমজানের আগে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধে সরকারের ব্যর্থতার কঠোর সমালোচনা করেন তিনি।
জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের উদ্যোগে বেগম খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর ৯ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ উপলক্ষে এ অনুষ্ঠান হয়।
ওলামা দলের আহ্বায়ক মাওলানা শাহ মো. নেছারুল হকের সভাপতিত্বে ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব কাজী মো. সেলিম রেজার সঞ্চালনায় সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানে ওলামা দলের আলমগীর হোসাইন, কাজী মো. আবুল হোসেন, আলমগীর হোসাইন খলিলী, জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, তাজুল ইসলাম খান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।