আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির নেতারা বলেছেন, বৈষম্য ও অধিকার হরণের বিরুদ্ধে আরব বসন্তের বহু আগে বায়ান্ন, বাষট্টি ও ঊনসত্তর সালে এই ভূখণ্ডে বার বার গণআন্দেলন এবং গণঅভ্যুত্থান হয়েছে। একাত্তরের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধ ও নব্বইয়ের গণঅভ্যুত্থানের মূল প্রেরণা ছিল গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম। অতএব কোটি কোটি মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নিয়ে গায়ের জোরে ৭ জানুয়ারির নির্বাচন করলে ‘গণমানুষের অভ্যুত্থান’ ও ‘বাংলা বসন্ত’ কেউ ঠেকাতে পারবে না।
মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেলে সরকারের পদত্যাগ ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার চলমান আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে বিজয়নগরস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে মিছিল বের করে এবি পার্টি। মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এসব কথা বলেন এবি পার্টি নেতৃবৃন্দ।
মিছিলটি এবি পার্টির কেন্দ্রীয় অফিস থেকে শুরু হয়ে কাকরাইল, বিজয়নগর, পল্টনসহ রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বিজয়-৭১ চত্বরে এসে সমাবেশে মিলিত হয়।
এতে বক্তব্য রাখেন এবি পার্টির আহ্বায়ক এএফএম সোলায়মান চৌধুরী, যুগ্ম আহ্বায়ক প্রফেসর ডা. মেজর (অব.) আব্দুল ওহাব মিনার, সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম, সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মন্জু ও যুগ্ম সদস্য সচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ।
এএফএম সোলায়মান চৌধুরী বলেন, আমি স্পষ্ট করে বলছি ৭ জানুয়ারির নির্বাচন একটি প্রহসন ও জনগণের টাকা অপচয়ের নির্বাচন, আমরা এই নির্বাচন মানি না। ইতিমধ্যে সব গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল এই পাঁতানো নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে। জনগণকে বলব, আপনারা এই নির্বাচন বর্জন করুন, কেউ আপনারা ভোট দিতে যাবেন না।
অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম আকাশচুম্বী, মানুষ নিজের পছন্দ মতো খাবার কিনতে পারছে না। সেসময় লুটপাটের টাকা অপচয়ের মাধ্যমে সরকার হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয় করে তামাশার নির্বাচন করছে।
মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, মন্ত্রী রাজ্জাক সাহেব মারফত আমরা জানলাম এক রাতে সবার মুক্তির শর্তেও বিএনপি নেতারা সরকারের সাথে আপোস করেননি। জনগণের দাবির প্রতি সম্মান জানিয়ে তারা কারাগারের নির্যাতন মেনে নিয়েছেন। অথচ ১/১১’র সময় আওয়ামী লীগের বহু নেতারা রিমান্ডে গিয়ে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে নানা ঘটনা ফাঁস করে দিয়েছেন।
এখানেই বিএনপি-আওয়ামী লীগের পার্থক্য উল্লেখ করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নেতারা হলো শক্তের ভক্ত নরমের যম। গণঅভ্যুত্থান শুরু হলে এখনকার নেতা-মন্ত্রীদের কাউকে খুঁজে পাওয়া যাবে না।
সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন এবি পার্টির কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন রানা, সিনিয়র সহকারী সদস্যসচিব আনোয়ার সাদাত টুটুল, যুব পার্টির আহবায়ক এবিএম খালিদ হাসান, আব্দুল বাসেত মারজান, মহানগর উত্তরের আহবায়ক আলতাফ হোসাইন, সহকারী সদস্য সচিব শাহ আব্দুর রহমান, মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল হালিম খোকন, যুগ্ম সদস্য সচিব সফিউল বাসার, কেফায়েত হোসেন তানভীর, যুবপার্টি মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক তোফাজ্জল হোসেন রমিজ, যুবপার্টির যুগ্ম সদস্য সচিব মাসুদ জমাদ্দার রানা, সুলতানা রাজিয়া, যুবপার্টি ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব শাহিনুর আক্তার শীলা, কেন্দ্রীয় সহকারী অর্থ সম্পাদক সুমাইয়া শারমিন ফারহানা, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আব্দুল হালিম নান্নু, সেলিম খান, আব্দুর রব জামিল, রিপন মাহমুদ, আমানুল্লাহ খান রাসেল, মশিউর রহমান মিলু, ফেরদৌসী আক্তার অপি, আমেনা বেগম, ছাত্রপক্ষের আহ্বায়ক মোহাম্মদ প্রিন্স, পল্টন থানা আহ্বায়ক আব্দুল কাদের মুন্সি, যাত্রাবাড়ী থানা সমন্বয়ক সিএম আরিফসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগরীর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।