বাংলাদেশের ইতিহাসে কোনও গণতান্ত্রিক আন্দোলনই বৃথা যায়নি এবং গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ফলেই বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারও টিকে থাকবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও জাতীয় সংসদের সাবেক বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ জয়নাল আবেদীন ফারুক।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলন বৃথা যায়নি, বৃথা যাবে না, বৃথা যেতে দেবো না। তাই আমরা মনে করি, জনগণ আমাদের সঙ্গে আছে। জনগণকে নিয়েই আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করবো। এই সরকার টিকে থাকতে পারবে না।
মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী তাঁতি দল ও ওলামা দলের আয়োজনে ভোট বর্জন করায় জনগণকে ধন্যবাদ দিয়ে লিফলেট বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় জয়নাল আবেদীন ফারুক বলেন, ৭ জানুয়ারি একটি প্রহসনের নির্বাচনের নাটক মঞ্চস্থ হয়েছে। যেখানে দেশের জনগণ ভোট কেন্দ্রে যায়নি, সেখানে ৪০ শতাংশ ভোট দেখিয়ে নির্বাচন কমিশন বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা করছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা নির্বাচনের আগে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি ও লিফলেট বিতরণের মাধ্যমে জনগণকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার বার্তা পৌঁছে দিয়েছি। জনগণ আমাদের এই আবেদনে সাড়া দিয়েছে এবং জনগণ এই একদলীয় সরকারের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি। তাই আমরা মনে করি, নির্বাচনটি জনগণশূন্য, অংশগ্রহণশূন্য, অগ্রহণযোগ্য হয়েছে। একদলীয় শাসনব্যবস্থা কায়েম করার আরেকটি হীন প্রচেষ্টা চালানো হয়েছে। তারই বিরুদ্ধে আজ নির্বাচনের পরে আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি হিসেবে জনগণকে ধন্যবাদ জানিয়ে লিফলেট বিতরণ করছি। আগামীকালও আমাদের এই লিফলেট বিতরণ কার্যক্রম চলবে।
তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্য গণতান্ত্রিক দেশ। তারা পর্যালোচনা করে যেটা বলবে, নিশ্চয়ই বলবে। তারা দেখেছে, তারা বলেছে। নির্বাচনি পর্যবেক্ষক পাঠায়নি। অতএব তারা তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করছে। সত্যিকার অর্থে দেশে যদি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হয় তারা সেটি বলবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন তাঁতীদলের সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক ড.কাজী মনিরুজ্জামান মনির, যুগ্ম আহ্বায়ক গোলাপ মঞ্জুর, জেএম আনিসুর রহমান আনিস, মোস্তফা কামাল ও কেন্দ্রীয় কমিটির মো. নুরুল্লাহ মোল্লা, মো. রিপন ব্যাপারী, গোলাম কাওসার, এম এ আজিজ, জিয়াউল হক প্রমুখ।