এইচএসসির ফল ঘোষণার দিন মানসিক অবস্থা কেমন ছিল, জানালেন তারা

0
98

চিত্রজগতে এমন অনেক তারকা আছেন যারা খুব অল্প বয়সেই মানুষের মন জয় করেছেন এবং অভিনয়ের জোরে শীর্ষে পৌঁছেছেন। তাদের কাউকে কাউকে চিকিৎসক, শিক্ষক কিংবা ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে বড়পর্দায় দেখা গেছে। তবে সেসব চরিত্রের প্রয়োজনেই। অভিনয় জগতের তারকাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে প্রায়ই কথা হয়। শিক্ষার কথা আসলেই তাদের পড়াশোনা ও পরীক্ষার ফলের কথা এসে যায়। রোববার এইচএসসির ফল প্রকাশ পেয়েছে। ফল প্রকাশের দিন অথবা তার আগের দিন কয়েকজন অভিনেত্রীর মানসিক অবস্থা কেমন ছিল এবং তাদের রেজাল্ট কেমন হয়েছিল তা তারা জানিয়েছেন।

অভিনেত্রী সাফা কবির ২০১২ সালে এইচএসসি পাশ করেন। তিনি পড়াশোনা করেন বিএফ শাহীন কলেজে। এইচএসসিতে ৪ দশমিক ৫০ পেয়েছিলেন। সাফা বলেন, ‘ফলাফল জানতে ভয়ে ভয়ে কলেজে গিয়েছিলাম। এদিকে রাত থেকে কী যে চিন্তা। ঘুমাতে পারিনি। সবাই জানতে চাইছেন কত পেয়েছি। পরে ভয়ে ভয়ে রেজাল্ট দেখে আমি খুব খুশি। আম্মুর কথা ভেবে আরও ভালো লাগল। কারণ আম্মু এমনটাই প্রত্যাশা করেছিলেন। আমার রেজাল্ট হলো কাঁটায় কাঁটায়, যা প্রত্যাশা করেছি, তা-ই।’

অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণ হলিক্রস কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেন। তিনি এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পান। ফারিণ বলেন, ‘আমি তো মায়ের জন্য পড়েছি। মায়ের কড়াকড়ি ছিল এ বিষয়ে। একদম নিয়মের মধ্যে থাকতে হতো। এমনও হয়েছে, অনেক সময় পড়াশোনার বাইরে কিছুই চিন্তা করতাম না। যেন পড়াটাই ছিল আমার জীবন। আসলে প্রেশার না দিলে পড়তাম না, এটা সত্য। এজন্য সব সময় ভালো ফল করেছি। এইচএসসির রেজাল্ট দেখে আমি খুব খুশি হয়েছি।’

২০১৭ সালের কথা। সেবার ঢাকার ক্যামব্রিয়ান কলেজ থেকে জান্নাতুল সুমাইয়া হিমিই তাদের ব্যাচ থেকে একমাত্র জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন। ফল শুনে আর কে পায় হিমিকে। খুশিতে আত্মহারা তার পরিবার। তিনি বলেন, ‘পরিবার থেকে আমাকে কখনই কেউ বলেনি বা পড়াশোনা নিয়ে চাপ দেয়নি। তাদের কথা ছিল, তোমার যে যোগ্যতা, তার চেয়ে খারাপ কিছু যেন না হয়।’

২০১৭ সালে অভিনেত্রী সাদিয়া আয়মান এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেন। তিনি বরিশাল মহিলা কলেজের ছাত্রী ছিলেন। তিনি এইচএসসি পরীক্ষায় ৪ দশমিক ৩৯ পান। সাদিয়া আয়মান বলেন, আমি আমার মতোই পড়াশোনা করেছি। মনোযোগীই ছিলাম। রেজাল্ট নিয়ে সবার যা হয়, আমারও অভিজ্ঞতা তেমনই। পরে রেজাল্ট দেখে খুশি হয়েছি। ফলাফল নিয়ে আমারও এমনটাই ধারণা ছিল।

তানজিম সাইয়ারা তটিনী এইচএসসি পরীক্ষা দেন বরিশাল মহিলা কলেজ থেকে। পড়াশোনা করে চিকিৎসক হওয়ার কথা ছিল তার। তার পছন্দ ছিল মেডিকেল সায়েন্স নিয়ে। অবশেষে তিনি হয়ে গেলেন অভিনেত্রী। এই অভিনেত্রী বলেন, ‘আমার অভিনয় নিয়ে কখনই কোনো ইচ্ছা ছিল না। হঠাৎ করেই অভিনয়ে আসা। এখন তো অভিনয় করেই যাচ্ছি কিন্তু এইচএসসি পরীক্ষার সময়ের সেই দিনগুলো এখনো চোখের সামনে ভাসে। রেজাল্টের আগে ভয় পেতাম আর পরে তো উৎসবের মতো মনে হতো।’

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here