ইসলামী আন্দোলনের বিক্ষোভ নতুন শিক্ষা ব্যবস্থা বাতিলের দাবি

0
79

নতুন শিক্ষা ব্যবস্থা বাতিলের দাবি জানিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। এর পাশাপাশি দলটি বলছে, শুধু ট্রান্সজেন্ডার নয়, পুরো শিক্ষা ব্যবস্থা বাতিল করতে হবে। স্থায়ী আল্লাহ ভীরু নতুন শিক্ষা কারিকুলাম বাস্তবায়ন করতে হবে। অন্যথায় সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং সচিবালয় ঘেরাও করার হুঁশিয়ারির দিয়েছে ইসলামী আন্দোলন।

শুক্রবার বাদ জুমা বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের যৌথ উদ্যোগে ‘বিতর্কিত শিক্ষা কারিকুলাম পরিবর্তন ও ট্রান্সজেন্ডারকে প্রমোট করার প্রতিবাদে’ বিক্ষোভ মিছিলপূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে দলটির নেতারা এসব কথা বলেন। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল করে দলটি। তাদের মিছিলটি বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেট থেকে শুরু হয়ে নাইটিঙ্গেল মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেন, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা বলবো, তুমি এনজিও। বাংলাদেশের মানুষের পয়সা দিয়ে, এর বিরোধীতা করার কারণে তুমি চাকরিচ্যুত করবা, না হবে না। যদি আসিফ মাহতাব স্যারকে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চাকরিচ্যুত করা হয় আমরা সবাই ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটে অবস্থান করবো। দেখবো কিভাবে চাকরিচ্যুত করা হয়। এরপরেও যদি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের কথা শুনতে বাধ্য না হয়, তাহলে বাংলাদেশের জনগণ ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি ইট খুলে ফেরবে।

ব্র্যাকের যে প্রতিষ্ঠানগুলি আছে, সেগুলো বর্জন করা উচিত। শুনলাম ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটির সারোয়ার সাহেবও চাকরিচ্যুত করার চক্রান্ত করা হচ্ছে। বাংলাদেশে হবে না। এজন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে বলতে চাই, আপনি কি সমকামির পক্ষে না কি বিপক্ষে, আমরা স্পষ্ট বক্তব্য চাই। স্পষ্টভাবে জাতি জানতে চায়।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ যাতে তাদের ব্রেনকে কাজে লাগাতে না পারে সেই চক্রান্ত আদি থেকে চলছে, এখনো চলছে এবং ভবিষ্যতেও চলবে। দেশের অবস্থা আজকে দেখে, শীত পড়তে পারেনি- এরমধ্যে কোন কিছু বন্ধের আর্দেশ না আসলেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করতে হবে। করোনায় মার্কেট ও বাজার বন্ধ হয় না, কিন্তু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করতে হবে।

ফয়জুল করীম বলেন, আজ অনলাইনে শিক্ষা নেয়া হচ্ছে। একটা বাচ্চাকে ইন্টারনেট এবং এনড্রয়েডের ফোন যদি হাতে তুলে দেয়া হয় তাহলে তাকে ধ্বংস করার জন্য অন্য কোন যন্ত্রের প্রয়োজন আছে? সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে এবং চলছে। আজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কতো নাম্বারে আছে? কোন নাম্বারই নাই। বুয়েট আছে। কিন্তু পদ্মাসেতু করার জন্য জাপান থেকে লোক আনতে হবে কেনো? আজকে আমাদের ধনীরা চিকিৎসা করতে ভারত ও সিঙ্গাপুরে যান। বাংলাদেশের মেডিকেল কলেজ কি করছে? এদেশের মেধা কোথায়? কারণ আমি যদি জ্ঞানী হই তাহলে রাজনীতির নামে আমাকে গাধার মতো ঘুরাতে পারবে না। যা ইচ্ছা তাই চাপিয়ে দিতে পারবে না। এজন্য পরিকল্পিতভাবে শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করার চক্রান্ত করছে।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি প্রিন্সিপাল মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদের সভাপতিত্বে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, ইসলামী যুব আন্দোলন ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি হাফিজুল হক ফাইয়াজ, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি মাইদুল হাসান সিয়াম প্রমুখ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here