ইরানের মিসাইল হামলায় বদলেছে পিটারসেনের বিমানের পথ

0
18

যুদ্ধের আঁচ শনিবার ভালোভাবেই টের পেয়েছেন কেভিন পিটারসেন। তা না হলে জানাতেন না এমন অভিজ্ঞতা তার প্রথমবারের মতো হয়েছে। মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়েতে মুম্বাই ইন্ডিয়ানস-চেন্নাই সুপার কিংসের ম্যাচে রোববার ধারাভাষ্য দেওয়ার কথা তার।

সেই লক্ষ্যে ভারতের উদ্দেশে বিমানে উঠেছিলেন পিটারসেন। কিন্তু বিমানে উঠে জানতে পারেন ইরান-ইসরাইল যুদ্ধের কারণে তাদের বহনকারী বিমানের গতিপথ পরিবর্তন হয়েছে। এটা শোনার পর উদ্বিগ্ন হওয়ার অভিজ্ঞতা সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করেছেন ইংল্যান্ডের সাবেক ব্যাটার।

বিবিসি জানিয়েছে, ইসরাইলে ইরানের হামলার পর নিজেদের আকাশসীমা বন্ধ করে দেয় লেবানন, জর্ডান ও ইরাক। অন্যদিকে সামরিক উড়োজাহাজ ছাড়া সব উড়োজাহাজের জন্য আকাশপথ বন্ধ করে রেখেছে ইরান ও ইসরাইলও। খুব সম্ভবত এসব আকাশসীমা ব্যবহার করার কথা ছিল পিটারসেনদের বহনকারী বিমানের। তবে হামলার পর পথ বদলে ফেলে তাদের বিমান। পথ বদলে যাওয়ায় নতুন করে জ্বালানিও নেয় বিমানটি।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (টুইটার) এক পোস্টে পিটারসেনের ভাষ্য, ‘এই প্রথমবার (এমন অভিজ্ঞতা)। আমাদের বিমানকে গতরাতে ফিরে যেতে হয়েছে এবং আরও বেশি করে জ্বালানি নিতে হয়েছে। কারণ, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র এড়াতে আমাদের পথ বদলাতে হয়েছিল। ম্যাডনেস!’

ওই পোস্টের নিচে পিটারসেন আরও জানান, দিনের শেষে মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়েতে থাকবেন, যেটা তার প্রিয় ক্রিকেট মাঠগুলোর একটি।

এর আগে, গত ১ এপ্রিল সিরিয়ায় ইরানি কনস্যুলেটে হামলা চালায় ইসরাইল। এতে ১৩ জনের মৃত্যু হয়। এ হামলার জন্য ইসরাইলকে সরাসরি দায়ী করেছে ইরান। তবে ইসরাইল এই হামলায় দায় স্বীকার না করলেও এর জবাব দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দেয় তেহরান। এর জবাবেই শনিবার ইসরাইলে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। গাজা যুদ্ধ শুরুর পর এটিই প্রথম ইসরাইলে সরাসরি ইরানের হামলা।

এদিকে ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি জানিয়েছেন, ইসরাইলের আকাশসীমায় পৌঁছানোর আগেই বেশিরভাগ ক্ষেপণাস্ত্র গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছে। তার দাবি, ৯৯ শতাংশ হামলাই প্রতিহত করা হয়েছে। এতে ইসরাইলের সামান্য ক্ষতি হয়েছে। তবে ইরানের দাবি, হামলায় ইসরাইলের একটি গোয়েন্দা কেন্দ্র ও একটি বিমান ঘাঁটি ধ্বংস হয়েছে।

গত ৭ অক্টোবর গাজার ইরেজ সীমান্ত দিয়ে ইসরাইলের ভূখণ্ডে ঢুকে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জন মানুষকে হত্যা করে হামাস। পাশাপাশি জিম্মি হিসেবে ২৪২ জনকে ধরে নিয়ে যায়। এরপর গাজায় হামলা শুরু করে ইসরাইলি বাহিনী।

দখলদারদের এমন হামলায় নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যাই ২৪ হাজারের বেশি। বাস্তুচ্যুত হয়েছেন ২০ লাখ মানুষ। ২২৯টি মসজিদ সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গেছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here