আওয়ামী লীগ এখন ‘লোক ভাগানো’র দলে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
বুধবার (৬ ডিসেম্বর) বিকেলে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এই মন্তব্য করে তিনি বলেন, বিএনপির সাচ্চা কাউকে হালুয়া রুটির লোভে রাজদলে ভাড়া করতে পারেনি। গুটি কয়েক দল বিতাড়িত কিছু গণধিকৃতকে টাকার বিনিময়ে ভাগিয়ে নিয়ে আওয়ামী লীগ এখন লোক ভাগানোর দলে পরিণত হয়েছে।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, আমরা বিভিন্ন পাড়ায়-মহল্লায় শুনি কিছু মানুষজন থাকে নীতিহীন, নীতিবিবর্জিত তারা পাশের বাড়ির কাজের লোককে ভাগিয়ে নিয়ে যায় বিভিন্ন ধরনের প্রলোভন দিয়ে। এসব মানুষদের অন্যান্য মানুষরা, ভদ্রলোকরা যারা সুশীল, সুশিক্ষিত মানুষরা এরা খুবই অবজ্ঞার চোখে দেখে, বাজে মানুষ হিসেবে দেখে।
রিজভী বলেন, যাদের কিনে ভোটে ভিড়িয়েছে তাদের দুই-একজন ছাড়া কারও নাম পর্যন্ত শোনেনি দেশের মানুষ। প্রতিদ্বন্দ্বীরা সবাই হাস্যকরভাবে আকুতি জানাচ্ছেন সংসদে যাওয়ার জন্য। তারা কেউ সরকার গঠনের কথা ভাবছেন না তারা শুধু সংসদে যেতে চান।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা তার রেজিমের প্রধান বিরোধীদল বানিয়েছেন যাদের সেই জাতীয় পার্টির মহাসচিব মঙ্গলবার বলেছেন, সরকার আশ্বাস দিয়েছে বলেই নির্বাচনে এসেছি। কি ভয়াবহ পরিস্থিতির উদ্ভব ঘটেছে তা জাতীয় পার্টির মহাসচিবের বক্তব্যে স্পষ্ট। শেখ হাসিনার আশীর্বাদ ছাড়া দেশে কেউ ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার হওয়ার যোগ্যতাও নেই। গত তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মানুষ ভোট দিতে পারেনি। ১২ কোটি ভোটারের কাছে আমাদের আহ্বান আপনারা কারও প্রহসনের নির্বাচন করার স্বার্থসিদ্ধিতে নিশ্চিয়ই অংশ নিবেন না।
ভোট বর্জন করার আহ্বান জানিয়ে রিজভী বলেন, যারা এই পাতানো সিলমোহরের নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন বা প্রত্যক্ষ পরোক্ষ সহযোগিতা করছেন… তাদের আমি বিএনপির পক্ষ থেকে উদাত্ব আহ্বান জানাচ্ছি আপনাদের যদি ন্যূনতম দেশপ্রেম থাকে, যদি মনুষ্যত্ব থাকে, বিবেক বিবেচনাবোধ থাকে তবে ফিরে আসুন। আপনারা মীরজাফরের উত্তরসূরি হবেন না। প্রজাতন্ত্রের কোনো কর্মকর্তা কর্মচারী ভাগ-বাটোয়ারার পাতানোর নির্বাচনে কেউ কোনো সহযোগিতা করবেন না। ভোটাররা ভোটদান থেকে বিরত থাকুন। যারা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তারা প্রত্যাহার করুন। অন্যথায় এই অমার্জনীয় অপকর্মের জন্য জনগণ আপনাদের ক্ষমা করবে না। ইতিহাসের পাতায় আপনাদের নাম বেইমান-মীরজাফরের পাশে উৎকীর্ণ থাকবে।