আমাদের বই মেলার রাজনৈতিক চরিত্র কেমন? -রেজাউল করিম রনি

0
84

বইমেলা নিয়ে বাংলা একাডেমির মরহুম মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান ‘বই ও বইমেলা নামে একটা নিবন্ধ লিখেছিলেন কয়েক বছর আগে। বই মেলার মৌসুমে একটা জনপ্রিয় জাতীয় দৈনিকে এটা ছাপা হয়েছিল। সেখান থেকে একটা অংশ আগে পড়ে নেই,

“বাংলা একাডেমির বইমেলাটি ‘অমর একুশে গ্রন্থমেলা’ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। বাংলাদেশের মানুষের গভীর আবেগ, ভালোবাসা ও গ্রন্থপ্রীতিযুক্ত হয়ে মেলাটি ধীরে ধীরে বাঙালির সাংস্কৃতিক জাগরণ আর রুচি নির্মাণের এক অনন্য প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেয়েছে। আমাদের এই বইমেলাটি অন্য কোনো বইমেলার মতো নয়, একেবারেই বাঙালির ভাষাপ্রীতি, ভাষার জন্য সংগ্রাম ও রাষ্ট্রভাষা হিসেবে মাতৃভাষার প্রতিষ্ঠার স্মারক হিসেবে চিহ্নিত।”

বইমেলাকে কেন্দ্র করে আপনারা যতই উৎসব-উত্তেজনা, সাংষ্কৃতিক জাগরণ দেখেন না কেন; আমার কাছে- সাংষ্কৃতিক বিচ্ছিন্নতাটাও প্রকটভাবে চোখে পড়ে। তথাকথিত হাজার বছরের সাংষ্কৃতিক অহং প্রকাশের জন্য মাসব্যাপী বইমেলার যে আয়োজন তা সমাজের ‘ভিন্ন’ চিন্তা ও রুচির মানুষকে একীভূত করতে পারেনি, বরং বিচ্ছিন্নতাকে উস্কে দিতে সাহায্য করছে। খান যেমন বলেছেন, এটা হলো সাংস্কৃতিক জাগরণের আর রুচি নির্মাণের কসরত। মেলা তো বেচাকেনার জায়গা, রুচির পরীক্ষা কেন এখানে? এখন কথা হলো, সবার রুচি তো ভাই বাঙালিপনা দিয়ে মাপলে হবে না? আরও নানান রুচির মানুষ তো দেশে আছে। সেটা আমাদের হিসেবে থাকে না কেন? এমনকি বুদ্ধিজীবিরাও এটা নিয়ে কথা বলেন না। বিদেশি ফান্ড-খোর লোকজন সব সময় ভিন্ন সংষ্কৃতির কথা বললেও বই মেলার একটা একাট্টা ফ্যাসিবাদি চরিত্র দিনে দিনে তৈরি হলো, এখানে যে ভিন্ন সংষ্কৃতি, বিশ্বাস ও আদর্শকে শত্রু মনে করা হয় বা গণনায়ই ধরা হয় না, এই বিষয়ে কোনো দিন কথা বলতে শুনলাম না। বরং এই একাট্টা বাঙালি সংষ্কৃতি নামের অগণতান্ত্রিক, ফ্যাসিস্ট জিনিসটাকে বাংলাভাষার দোহাই দিয়ে, বায়ান্নর দোহাই দিয়ে আরও দানবীয় করে তুলতে ভূমিকা পালন করছেন এরা।

অন্যদিকে এসবের বিরুদ্ধে বুদ্ধিবৃত্তিক ভাবে প্রতিরোধ তৈরির বদলে ভিন্নচিন্তা ও আদর্শের লোকজনের মধ্যেও হীনমন্যতা বা ভয়ে কুকড়ে যাওয়ার দশা তৈরি হয়েছে। ফলে এরাও বাঙালি সংষ্কৃতির প্রেমিক সেজে বইমেলায় শামিল হয়ে ইজ্জত রক্ষা করতে প্রতিযোগিতা করে। সবচেয়ে বড় কথা হলো, বইমেলাকে এরা বাঙালি সংষ্কৃতির দায়ভার দিয়েই বা কি করতে চান? আমি বলতে চাই, একটা মেলা করে সংষ্কৃতি রক্ষা করতে হলে, সেই সংষ্কৃতি ধ্বংস হয়ে যাওয়াই ভাল। এতো কমজোর সংষ্কৃতি দিয়ে এই গুগল দুনিয়ার প্রতিযোগিতার দিনে সুবিধা হবে না।

‘কালচারাল ইন্ডাসট্রি’ জনগনের বিকাশে ভূমিকা পালন করছে না বিকাশকে ক্ষতিগ্রস্থ করছে এটা বুঝবার অনেক তরিকা আছে। বিখ্যাত তাত্বিক থিওডর এডোর্নো এই বিষয়ে কাজের কথাটা বলেছেন, একটা সংষ্কৃতি জনগনের বিকাশে ভূমিকা পালন করছে কি না তা বুঝতে হলে দেখতে হবে সেই সংষ্কৃতি স্বাধীনতার বিকাশে কোন ভূমিকা পালন করছে কি না। নাকি স্বাধীনতার জন্য বাঁধা হয়ে উঠছে। যদি বাঁধা হয়ে ওঠে তা হলে সেটা ফ্যাসিস্ট সংষ্কৃতি।

আমাদের বই মেলাতে কয়েক বছর ধরে কি বই প্রকাশ হবে তা সরকারী ভাবে তদারকির ব্যবস্থা করা হয়েছে। সরকারের অপছন্দের বই তো মেলাতে প্রবেশ করতে পারেই না, সাথে সাথে সেই প্রকাশনীকেও স্টল বরাদ্ধ দেয়া হয় না। বই নিধিদ্ধ করা একটা অন্যায়, সাথে গোটা প্রকাশনীকে বাণিজ্য থেকে বঞ্চিত করা আর একটা অন্যায়। কিন্তু এই দুই অন্যায়ের মধ্যে পার্থক্যটা চিন্তা করলে দেখা যাবে, ফ্যাসিবাদী চিন্তা কতোটা প্রাতিষ্ঠানিক রুপ নিয়েছে আমাদের দেশে । শুধু বইটাকেই না পুরো প্রকাশনীকেই নিয়মতান্ত্রিক ভাবে অনিয়মের প্যাচে ফেলে মেলা থেকে আউট করে দেয়া হয়। গত কয়েক বছরে এমন বেশ কয়েকটি ঘটনা আমরা দেখেছি। অথচ সেই প্রকাশনির হয়তো একটা/দুইটা বইয়ে সরকারের অপত্তি কিন্তু খোদ প্রকাশনীকেই আউট করে দেয়ার মাধ্যমে স্বৈরতন্ত্র কতোটা সুসংগঠিত ও প্রাতিষ্ঠানিক রুপ নিয়েছে তার একটা থারণা করা সম্ভব হয়।

অন্যদিকে, বইমেলাকে বই প্রকাশ ও ব্যবসার দিক থেকে না দেখে চেতনার দিক থেকে দেখার আরেকটা সমস্যা হলো, যারা এই চেতনার বাইরে অবস্থান করতে চান তাঁদের জন্য কোন স্পেস থাকে না। আর এই চেতনাটা দেশে সব মানুষের চেতনা না। এটা একটা বিশেষ রাজনৈতিক দলের চেতনা। যারা জনগনের ভোটের অধিকার কেড়ে নেয়ার মাধ্যমে দেড় দশক ধরে ক্ষমতা দখল করে আছেন।

এটাও আমার আসল কথা না। আসল কথা হইল, বইমেলার এই ‘আওয়ামী চেতনাগত’ উম্মাদনা আমাদের অশিক্ষিত মানসিকতার ভেতর একটা ফাঁকা অহং এর জন্ম দিয়ে যাচ্ছে। যা প্রতিটি পদক্ষেপে চলমান ফ্যাসিবাদের ভীতকে আরও শক্তিশালী করতে সাহায্য করছে। কারণ, আমাদের কোন কিছুই আর রাষ্ট্রী নাই। সবই দলীয়। আরও দেখবেন, প্রকাশকরা বই ব্যবসার চেয়ে নিজেদেরকে সাংষ্কৃতিক নারী/পুরুষ ভাবতে বেশি পছন্দ করেন। তাদের হাবভাব দেখলে মনে হয় জাতিকে উদ্ধারের দায়িত্ব নিয়ে নিছে এরা। এবং বিনা সংঙ্কোচে দলীয় লেবাস ধারণ করে বসে আছেন।
এতে করে হয় কি তারা ব্যবসার চেয়ে অন্ধ দলীয় চেতনার উত্তেজনায় বেশি মেতে থাকেন। ফলে বাংলাদেশের বইয়ের বাজার আজও করুণ দশা থেকে বের হতে পারছে না। যারা দুনিয়ার বইপুস্তকের বাজারের খবর রাখেন তারা আমার মতের সাথে দ্বিমত করবেন না আশা করি। বাংলা বই প্রকাশ এখনও ১৯ শতকের রেনেসাঁর খাসিলত কাটায়ে বাণিজ্য বা কর্পোরেট বাণিজ্যের ক্ষেত্র হয়ে উঠতে পারছে না। এর জন্য অনেক কারণের সব চেয়ে বড় কারণ হচ্ছে, চেতনার উত্তেজনায় আমরা বেহুশ হয়ে যাই।

অন্যদিকে ২১ ফেব্র্রুয়ারি কেন্দ্রিক বই প্রকাশের উন্মাদনা পাঠক সংস্কৃতির সর্বনাশ করে দিয়েছে। বই মেলা জ্ঞান ও সৃজনের সমৃদ্ধির চেয়ে আমাদের দেশে ‘সাহিত্যিক ফ্যানাটিসিজম’- ছড়ানোর একটা আয়োজন হয়ে দাঁড়িয়েছে। একজন প্রকৃত লেখকের জন্য মেলার উপর নির্ভরশীলতার কোন দরকার থাকে না। কিন্তু মেলা আসলে আমরা চারপাশে একশ্রেণির লেখকদের উৎপাত দেখে বিরক্ত হই। সবকিছুর মতো বই বের করারও একটা হুজুগ হিসেবে চেপে বসে একশ্রেণির মানুষের ঘাড়ে। এবং তার সাথে ফ্যাসিবাদের মতাদর্শের ভেতর থেকেই খ্যাতির কাঙালপনার যে প্রদর্শনী আমরা এই সময় দেখি সেটাই বই মেলার সাহিত্যিক ফ্যানাটিজসজম।

একটু ব্যাখ্যা করে বলি, বই যদি জ্ঞানের বাহন হয়; তাহলে এই জ্ঞানের আবির্ভাব নিজেই একটা বড় ঘটনা বা ইভেন্ট। এর জন্য আলাদা কোন ইভেন্ট দরকার নাই। ফলে একটা বই যদি বের হয় সেটাই একটা ঘটনা হওয়ার কথা পাঠকদের জন্য। সেটাই পাঠক বা জ্ঞান সাধকদের জন্য বড় ইভেন্ট। আর এই ধরণের ইভেন্ট যেকোন সময়ই ঘটতে পারে। লেখক যেকোন সময় ইন্টারভেন করতে পারেন। সারাদেশের বই বাজার ও রিডিং-সংষ্কৃতি মজবুত থাকলে প্রকাশকের বই বিক্রি নিয়ে বাড়তি টেনশনের দরকারও পড়বে না। কিন্তু এখন হয় কি, শখের লেখক থেকে শুরু করে সবার বই একটা চেতনাগত উত্তেজনার ভেতর হাজির হয়, তখন বইটার আর নিজের পক্ষে একটা ঘটনা হয়ে ওঠার সুযোগ থাকে না। ফলে হুজুগে প্রচুর বই বের করা ও সারা বছর বাদ রেখে এক মাস জুয়ার আসরের মতো বিজি থাকে বেশির ভাগ প্রকাশকরা। এই বই বিক্রির অসুস্থ প্রতিযোগিতা আমাদের বইয়ের বাজার ও পাঠক-সংষ্কৃতি তৈরিতে একটা বাঁধা হিসেবে হাজির হয়েছে।

এতক্ষণে আমি মনে হয় বাংলা ভাষা ও সংষ্কৃতির কঠিন শত্রু থেকে দন্ড পাওয়ার উপযুক্ত আসামীতে পরিণত হয়ে গেছি। যারা এমনটা মনে করছেন আমার সাথে দ্বিমত করেন সমস্যা নাই কিন্তু একটু চিন্তা করে দেখুন। প্রায় ৪ দশক ধরে মেলা হচ্ছে। অথচ দিন দিন আমাদের সাহিত্য করুণ থেকে করুণ অবস্থার দিকে যাচ্ছে। দুনিয়ার সাহিত্য পরিমন্ডলে আমাদের সাহিত্যের কোন সম্মানজনক অবস্থার খবর আমরা পাই না। বরং শাহবাগ- টিএসসি- বাংলা একাডেমির প্রঙ্গন যেন দুনিয়া থেকে বিচ্ছিন আপন কর্মে নিজেরই গর্বিত এক অন্ধ চর।

আমাদের মনে রাখতে হবে, মূর্খতা কোন পাপ নয়। কিন্তু মূর্খতার অহং হলো ক্রাইম। রাজণনৈতিক ভাবে পরাধীন, দল দাশ, ফ্যাসিবাদের সেবকদের পক্ষে দুনিয়ার মানুষের কাছে আবেদন তৈরি করার মতো সাহিত্য তৈরি হতে পারে না। আমাদেরও হচ্ছে না। অন্যদিকে কিসের আপনাদের ভাষাপ্রেম? বাংলাদেশে কোন ভাষাপ্রেম নাই। আছে ‘বর্ণমালা পূজার সংষ্কৃতি’।
ভাষাপ্রেম থাকলে তো আমাদের বাচ্চারা অন্তত দুই-তিনটা ভাষা জানত। অন্যগুলো বাদ দিলাম, আরবী ও ইংরেজি তো অবশ্যই অল্প বয়সেই শিখে যাবার কথা ছিল। কিন্তু বাংলা ভাষাটাও যে ভাল ভাবে পারে তারও তো নজির নাই। আছে কেবল কুৎসিত বর্ণমালা প্রেম। এটা ভাষাপ্রেম না।

মনে রাখতে হবে, ভাষার সাথে জাতীয়তার একক কোন সম্পর্ক নাই। এক আরবী ভাষা-ভাষী অঞ্চলে বহু জাতি তৈরি হয়েছে। ভাষার লেজ ধরে সেখানে সবাই এক জাতি হয়ে যায় নাই। একাট্টা বাংলা ভাষা বলেও কোন ভাষা নাই। বাংলা ভাষারও বহু রূপ আছে। কিছু পণ্ডিত ভারতীয়(কলকাতার) বাংলাকে এখানে চাপিয়ে দিতে চান। এটার নাম দিছে তারা আবার ‘মান বাঙলা’, বাকিগুলার কি মান-ইজ্জত নাই তাহলে?

 

ভাষার সাথে আত্মপরিচয়, সত্তার একটা সম্পর্ক থাকে। থাকে বিশ্বাস ও ক্ষমতার রাজনীতির সরাসরি সম্পর্ক। কোন ভাষার চেয়ে কোন ভাষা বেশি পবিত্র বা বেশি প্রেমের জিনিস হতে পারে না। বাংলা একটা চিহ্ন ব্যবস্থা মাত্র। এই চিহ্ন-ব্যবস্থার প্রেমে গদগদ থাকলে খোদ ‘ভাষা’র আলাপটা আর নজরে পড়ে না। দার্শনিক আগামবেন আলোচনা করেছেন ‘সেক্রামেন্ট অব ল্যাঙ্গুয়েজ’ নিয়ে । সেক্রামেন্ট মানে সংষ্কার, কিন্তু শুধু সংষ্কার না, বিশ্বাস বা ধর্ম সংষ্কারের বিষয়টা বুঝাতে এই শব্দ ব্যবহার করা করেছেন তিনি। ভাষার বিকাশের সাথে বিশ্বাসের সংষ্কার বা রিফর্মের একটা সম্পর্ক আছে। আমি জটিল আলাপ বাদ রাখছি। এখন একটা ভাষার প্রকরণ চাপিয়ে দেয়ার ভেতর দিয়ে তারা আসলে একটা আদর্শ বা ধর্ম চাপিয়ে দিতে চায়। এবং অন্য ধারণা বা প্রকরণকে তাদের ভাষার এলাকায় কোন ভাবেই মেনে নিতে পারে না। এই জন্য বাঙালি সংষ্কৃতিবাদিরা দেখবেন ভাষায় একটা আরবি-ফার্সি ঢুকলে হায় হায় করে ওঠেন। ভাষার সাথে রাজনীতি-ধর্ম ও ক্ষমতার সম্পর্ক খুবই জটিল ও সরাসরি। এই প্রসঙ্গ আজ তোলা থাক। কথা বলছিলাম বইমেলা ও রাজনৈতিক চেতনার জুলম নিয়ে।

তাই বলে আমি বইমেলা আয়োজন বন্ধ করার কথা বলছি না। বইমেলা একটা হতেই পারে। অনেক দেশেই যেমন হয়। কিন্তু এটার উদ্দেশ্য হবে, লেখক-পাঠক-প্রকাশকদের জন্য বেশি বেশি সুযোগ তৈরি করা। লেখকদের বড় বড় কাজের বিষয়ে চুক্তি হবে। নতুন নতুন লেখকদের বই বের করার একটা পদ্ধতিগত প্রক্রিয়া চালু হবে। দেশি-বিদেশি লেখকরা ঘুরবেন, কথা বলবেন। একটা এমবিশাস বই লেখার জন্য লেখকরা ক্ষ্যাপা হয়ে উঠবেন। তার বইটাই একটা ঘটনা আকারে হাজির হবে এমন স্বপ্ন নিয়ে বাড়ি ফিরবেন।

ফেব্রুয়ারিতে এই ভাষাভিত্তিক চেতনা সন্ত্রাস ও অশিক্ষিত ফ্যাসিবাদের আবাদ কেন এখনও করে যেতে হবে আমাদের বই মেলার ছুতায়? কেন আজও আওয়ামী অগতান্ত্রিক সংস্কৃতিই মূলধারা হিসেবে প্রেজেন্ট করা হবে?
এই ধরণের মেলাতে মূল ফোকাস থাকে আওয়ামী সন্ত্রসী চেতনাকে সাহিত্যিক রুপদেয়ার বহুমূখিন চর্চার দিকে। ফলে বইয়ের দিকে ফোকাস করার আর কোন ইচ্ছে থাকে না। মেলা শেষ বই নিয়ে দরদও শেষ। কিন্তু বই তো আমাদের জন্য সব সময় দরকরী। গণতন্ত্রের জন্য গণতান্ত্রিক সংষ্কৃতির চর্চাও দরকার। ফ্যাসিবাদি সংষ্কৃতির ভেতর থেকে গণতন্ত্র মজুবত করা যাবে না।

লেখক: চিন্তক ও সম্পাদক, জবান।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here