সরকার পতনের একদফা আন্দোলন প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, গণতান্ত্রিক আন্দোলন চলতেই থাকবে। যতক্ষণ না দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষা ফিরিয়ে দিতে না পারবো ততক্ষণ পর্যন্ত রাজপথ ছাড়বো না।
শনিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে নাগরিক ঐক্যের উদ্যোগে ‘প্রহসনের নির্বাচন মানি না, গণতন্ত্রের পক্ষে গণস্বাক্ষর’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। বক্তব্যে শেষে ড. মঈন খান সবাইকে নিয়ে স্বাক্ষর করেন।
মঈন খান বলেন, ভোটবিহীন এই সরকার কোনদিন জনগণের প্রতিনিধিত্ব করতে পারে না। এদেশ সৃষ্টি হয়েছিলো গণতন্ত্র ও দরিদ্র মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য। আজকে এই সরকারকে প্রশ্ন করতে চাই, এই সরকার নিজেদের দাবি করে তারা না কি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি। যে সরকার গণতন্ত্রকে হত্যা করে এবং সমস্ত সম্পদ কুক্ষিগত করে একটি অলিগার্কি তৈরী করে, সেই সরকার কিভাবে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি হতে পারে?
তিনি বলেন, আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলে দিতে চাই, দেশে গণতন্ত্র ব্যতিত অন্য কোন পদ্ধতি চলবে না। এই সরকার গায়ের জোরে এবং বন্দুকের নলের জোরে ক্ষমতায় আছে। আজকে শুধু আমরা একথা বলছি না, বিশ্বের বিভিন্ন মিডিয়া এবং রাষ্ট্রের বক্তব্য দেখুন। এই প্রহসনের নির্বাচন সম্পর্কে বিগত কয়েক বছর ধরে আমরা বিরোধী দলগুলো যে সব কথা বলে এসেছি, তারা (বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্র) সেই কথার প্রতিধ্বনি করছে। সুতরাং দেশে এবং আন্তর্জাতিকভাবে প্রতিষ্ঠিত যে, আজকে বাংলাদেশের গণতন্ত্র মৃত।
তাই আমাদের একটি মাত্র প্রতিজ্ঞা আমরা দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনবো।নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, আমরা সারাদেশে এই কর্মসূচি করবো। অনলাইন এবং অফলাইনেও এই কর্মসূচি করবো। এখন থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে প্রতিদিন একবেলা এই গণস্বাক্ষর কর্মসূচি পালন করবো। এরপরে ঢাকায় বিভিন্ন নগরে বহর নিয়ে যাবো, জনসাধারণকে স্বাক্ষর করতে বলবো।
এসময় বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল্লাহ কায়সারসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।