আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হলো বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব। মোনাজাত পরিচালনা করেছেন মাওলানা ইউসুফ বিন সাদ কান্ধলভী।
রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার পর মোনাজাত শুরু হয়। এর আগে শুক্রবার বাদ ফজর আমবয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব।
রোববার ফজরের পর বয়ান করেন ভারতের মুফতি মাকসুদ। তার বয়ান বাংলায় তরজমা করেন মাওলানা আব্দুল্লাহ। বয়ানের পরেই হেদায়াতি বয়ান শেষে আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা ইউসুফ বিন সাদ।
আখেরি মোনাজাত উপলক্ষে বিশেষ বাস ও ট্রেনের ব্যবস্থা ছিল। এ ছাড়া মোনাজাতে বাড়তি মুসল্লির চাপ সামাল দিতে বিশেষ ট্রাফিক পরিকল্পনা নিয়েছিল পুলিশ।
আয়োজক সূত্র জানায়, ময়দানের ৮৯টি খিত্তায় অবস্থান নিয়েছেন দেশ-বিদেশের লাখো মুসল্লি। গতকাল সকাল সাড়ে ১০টায় তালিম করান মাওলানা আব্দুল আজিম। ইজতেমায় তাবলিগ জামাতের নানা আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াও মূল বয়ান মঞ্চের পাশে অনুষ্ঠিত হয় গণবিয়ে।
ইজতেমায় আগত মুসল্লিদের সুবিধার্থে নেওয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ১৫ হাজার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ময়দানের ভেতরে ও বাইরে কাজ করছেন। সিসিটিভি ও ওয়াচ টাওয়ার দিয়ে পুরো ময়দান ও আশপাশের এলাকা পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। এ ছাড়া জেলা প্রশাসন, সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের লোকজন সমন্বিতভাবে কাজ করছেন।
মুসল্লিদের চাহিদা বিবেচনায় ময়দানের চারপাশে অস্থায়ী বাজার গড়ে উঠেছে। এতে জায়নামাজ, তসবি, টুপি, হিজাব ও আতর বিক্রি হয়।
আখেরি মোনাজাতকে কেন্দ্র করে শনিবার রাত থেকে গাজীপুরের তিন সড়ক, মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুলিশ। মোনাজাত শেষে রোববার দুপুর ২টার পর সড়কগুলো আবার খুলে দেওয়া হয়।
এ পর্বে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক বিদেশি মুসল্লির আগমন ঘটেছে। ভারত, পাকিস্তান, সৌদি আরব, তুরস্কসহ বিশ্বের ৬২ দেশের ৭ হাজার ৮৪৮ জন বিদেশি মেহমান এসেছেন।
শুক্রবার সন্ধ্যায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে এক মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে। মৃত জালাল মণ্ডল সিরাজগঞ্জের কাজীপাড়ার বড়াইখোলা গ্রামের বেলায়েত মণ্ডলের ছেলে। এ নিয়ে দ্বিতীয় পর্বে মোট ছয় মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে।