আওয়ামী লীগ কেন আগাম দুর্ভিক্ষের কথা বলছে !!

0
2299

দুর্ভিক্ষ একটি আওয়ামী ঐতিহ্য। স্বাধীনতার পর বিপুল জনপ্রত্যাশা নিয়ে দলটি ক্ষমতা গ্রহণ করে বড় বড় কথা বলা আর দেশকে দলীয় লুটেরাদের অভয়ারণ্য হিসেবে গড়ে তুলবার পরিণতি হিসেবে তারা শুধু আমাদের বাকশালী একদলীয় স্বৈরতন্ত্রই উপহার দেয় নাই, তারা শুধু স্বাধীন দেশে ভোটের নামে প্রতারণাই শুরু করে নাই, তারা ১৯৭৪ সালে সদ্য স্বাধীন দেশের মানুষকে উপহার দিয়েছিল দুর্ভিক্ষ। এই সময়ে সাধারণ মানুষের কষ্টের স্মৃতি ইতিহাসে যেমন আছে , সেই সময়ের মানুষ আজও যারা বেঁচে আছেন তাদের স্মৃতিতেও অটুট আছে। এই দুর্ভিক্ষ অনেক জীবন কেড়ে নিয়েছে; আওয়ামী লীগ জনঘৃণা ছাড়া আর কিছু অর্জন করতে না পারলেও ১৯৭৪ এর দুর্ভিক্ষের উপর কাজের জন্য প্রথম বাঙালি অর্থনীতিবিদ হিসেবে নোবেল লাভ করেন, অমর্ত্য সেন।

 

দুর্ভিক্ষ কি কারণে হয় –এটা নিয়ে অনেক গবেষণা দুনিয়াতে হয়েছে, এখনও হচ্ছে। দুর্ভিক্ষের একটা বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা দিয়েছেন ১৯৯৮ সালে অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন। ১৯৭৪ সালে সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের দুর্ভিক্ষ—তাঁর গবেষণার অংশ ছিল। তাতে তিনি দেখিয়েছেন চাহিদার তুলনায় মোট কতটা খাদ্য পাওয়া যাচ্ছে, সেটা দুর্ভিক্ষের কারণ নয়। উৎপাদন আগের তুলনায় বাড়লেও অর্থাৎ খাদ্যঘাটতি না থাকলেও দুর্ভিক্ষ হতে পারে। বাংলার দুই দুর্ভিক্ষই (৪৩ ও ৭৪ সালে- এ দুটাই ড. সেনের গবেষণার বিষয় ছিল) হয়েছে মূলত খাদ্য বিতরণে অব্যবস্থাপনার কারণে।

 

অমর্ত্য সেন দেখিয়েছেন, উভয় দুর্ভিক্ষেই খাদ্যসংকটের ঝাপটা শহরাঞ্চলের মানুষের ওপর দিয়ে যতোটা গেছে, বরং গ্রামাঞ্চলেই তার রূপ ছিল অধিকতর ভয়াবহ। ১৯৪৩ সালের মন্বন্তরে কলকাতায় না খেয়ে যত মানুষ মরেছে তার চেয়ে অনেক বেশি মরেছে গ্রামাঞ্চলে। একই ভাবে ১৯৭৪ সালেও বাংলাদেশে শহরাঞ্চলের মানুষের জন্য রেশনে চাল-গম দেওয়ার কিছু ব্যবস্থা থাকলেও গ্রামে ছিল না। এ কারণে প্রায় যে দশ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে, তাদের অধিকাংশই গ্রামের গরীব মানুষ এবং জীবিকার সন্ধানে গ্রাম ছেড়ে শহরে আসা মানুষ।

 

সরকার প্রতিদিন ঢাকঢোল পিটিয়ে দেশকে উন্নয়নের `রোল মডেল` হিসেবে প্রচার করে থাকে। আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পন্ন এই মিথ্যা শুনতে শুনতে জনগণ বিরক্ত। চাইলে এই লেখাতে প্রচুর সরকারী ডাটা ও তথ্য দিয়ে প্রমাণ করা যাবে যে, সরকার নিজের তথ্যের বিরুদ্ধেই বক্তব্য দিয়ে চলেছে। আসলে মিথ্যা তথ্যের বিরুদ্ধে এতো শক্তি ও সময় খরচ ঠিক হবে না বিবেচনা করে তা করছি না। পাঠক সত্যটা এতোদিনে ভালই জানেন। বাজারের অবস্থা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন সবাই। এর কারণও জানেন। অনেক দামে যে বাজারে পণ্য এখনও পাওয়া যায় তার কারণ আমাদের উৎপাদন আমরা চাহিদা মাফিক বাড়িয়েছি তা নয়। আসলে আমরা আমদানির উপর ভর করে চলছি। যার বড় অংশই আসে ভারত থেকে। বাংলাদেশ ভারতের একটা বড় বাজারে পরিণত হয়েছে। কয়েক দিন পরপর বিভিন্ন জিনিসের দাম বাড়ানো হয়। পরে সেটা ভারত থেকে আমদানির সমস্যার কারণে বা সরকারী দলের সিন্ডিকেটের কারণে হয় বলে প্রকাশ পায়। মানুষ এসব কাহিনী সবই জানেন। তার পরেও সরকার ক্রমাগত বলেই চলেছে আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পন্ন। আসলে প্রতিটি মিথ্যার খন্ডন করলে মহা কাব্য লিখতে হবে। আমরা দেখেছি এ সরকারের অব্যবস্থাপনা, অদক্ষতা, দুর্নীতি, অর্থপাচার ও লুটপাটের মহোৎসবের কারণে দেশের অর্থনীতি আজ প্রায় ধ্বংসের পথে। রিজার্ভ তলানিতে নেমে গেছে। টাকার নজিরবিহীন অবমূল্যায়ন ও তীব্র ডলার সংকট চলছে। আমদানি প্রায় বন্ধ। ডলার সংকটে অনেক আমদানি মূল্য ইচ্ছাকৃতভাবে পরিশোধ করেনি সরকার। তামাশার নির্বাচনের পর এ পরিস্থিতি আর ধরে রাখা সম্ভব হবেনা। তখন অর্থনৈতিক অবস্থা কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে তা কিন্তু শেখ হাসিনা সরকার ঠিকই বোঝে। কিন্তু এই চরম অর্থনৈতিক দুরবস্থা পরিস্থিতিতেও সরকার এবং তার গোষ্ঠীতন্ত্র লুটপাটের জন্য ওঁত পেতে আছে। দেশে যে কোন বিপদেই সরকারের লোকজন লুটপাটের উৎসব শুরু করে দেয়। যেমনটি করেছিল কোভিড কালেও। এবার শেখ হাসিনার কথা মতো আবার দুর্ভিক্ষ শুরু হলে আওয়ামী সরকার লুটপাটের রমরমা আসর বসাবে, আর ড. সেনের কপালে আরও একটা নোবেল জুটে যাওয়ার সুযোগ থাকলে তিনি সেটা পাবেন। তার তত্ত্ব প্রমাণিত সত্য হিসেবে প্রতিষ্ঠার জন্য আওয়ামী লীগের চেয়ে যোগ্য কোন দল দুনিয়াতে নাই।

 

উন্নয়ণের `রোল মডেল` দেশটিতে দুর্ভিক্ষ আসছে এ প্রচার গত কয়েক বছর ধরেই করে আসছে সরকার। প্রচন্ড লুটপাট বান্ধব উন্নয়নের গল্পের পাশা-পাশি করোনার পর থেকে শেখ হাসিনা নিজেই মাঝে মাঝেই দুর্ভিক্ষের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছেন। তিনি একাধিকবার দুর্ভিক্ষ নিয়ে কথা বলেছেন। এবার আওয়ামী লীগ প্রধান সময়-ক্ষণ দাগিয়ে দিয়ে বলেছেন, ২০২৪ এর মার্চের দিকে দুর্ভিক্ষ আসতে পারে। তবে এর জন্য দায়ী বিএনপি ! দেশের প্রায় সব সম্পদ বিদেশে পাচার করে, দেশের ব্যাংকসহ সব প্রতিষ্ঠানকে পরিকল্পিত ভাবে ধ্বংস করে দিয়ে এক তরফা ডামি ভোটের নামে সিলেকশন আয়োজনের মতো বেহায়া কাজে বিপুল টাকা অপচয়ের আয়োজনকারী দলটি যখন চরম নির্যাতনের মধ্যে থাকা দলটির দিকে দুর্ভিক্ষের জন্য আঙ্গুল তুলেন তখন তাদের এই বক্তব্য সব কৌতুককে হার মানিয়ে যায়।

 

দুনিয়ার কোন গবেষণায় কেউ কোন দিন দেখাতে পারেনি যে, কোনো গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় কখনো কোনো বিরোধী রাজনৈতিক দল দুর্ভিক্ষের কারণ হয়েছে। এমন নজির কোথাও পাওয়া যায় না। কিন্তু শেখ হাসিনার মাথায় এমন চিন্তা আসে। এই জন্যই তিনি অবিকল্প।

 

অথবা এমন হতে পারে তামাশার নির্বাচন থেকে সকলের এটেনশান মার্চের দিকে ঠেলে দেয়ার লক্ষ্যে আগাম দুর্ভিক্ষের এই ঘোষণা।

আমরা কি তাহলে ধরে নেব, যে একতরফা নির্বাচন হতে চলেছে, তার কারণে রাজনৈতিক সংকট সমাধানের সব সম্ভাবনা নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছে? তার পরিণতিতেই কি দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা? তাছাড়া ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের ২ মাসের মধ্যেই এ দুর্ভিক্ষের দিনক্ষণ উল্লেখ করার কারণ কি?

হাসিনা সরকার গণতন্ত্রকামী আন্তর্জাতিক বিশ্বকেও এ দুর্ভিক্ষের জন্য দায়ী বলে উল্লেখ করেছেন। বাংলাদেশে একটি অবাধ, গ্রহণযোগ্য ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনের পক্ষে জাতিসংঘ ও পশ্চিমা বিশ্বের শক্ত অবস্থানকে উপেক্ষা করে একতরফা নির্বাচন করতে যেয়ে সম্ভাব্য অর্থনৈতিক স্যাংশনের কারণে অর্থনীতিতে যে বিপর্যয় নেমে আসতে পারে সে জন্যই কি হাসিনা সরকার আগাম আন্তর্জাতিক মহলকেও দুর্ভিক্ষের জন্য দায়ী করে নিজকে রক্ষা করতে চাচ্ছেন।

দেশে তো নীরব দুর্ভিক্ষ চলছেই, নির্বাচনের পরে হয়তো দেশি-বিদেশী চাপে অবস্থা আরও খারাপ হবে। সেই খারাপ অবস্থা সামাল দেওয়ার কোন সক্ষমতা আওয়ামী লীগের নাই। আগেই বলেছি সেই সুযোগেও দেখা যাবে আরও বিপুল অর্থ ও সম্পদ পাচারের হিড়িক লেগে গিয়েছে। পদ্ধতিগত একটা মাফিয়া শাসনে আসলে এমনটাই হয়। এমনটাই হওয়া স্বাভাবিক। সরকারী সিন্ডিকেটগুলো হয়তো আরও ব্যাপক ভাবে জনগনের পকেট কাটতে প্রস্তুত হয়ে রয়েছে।

অথবা এমন হতে পারে অবস্থা একদম তলানিতে যাবে না। কিন্তু ব্যাপক অবনতি হবে। তার পরে সেটাকে, মানে অবস্থাটা জিরো না হয়ে যদি কোন রকম ভাবে মানুষ আধপেট খেয়েও জীবন বাঁচিয়ে রাখতে পারে-তখন সেটাকে সফলতা বলে প্রচার করা। তাই আগাম চরম অবস্থার কথা বলে মাঠ প্রস্তুত করে রাখা। যাতে অবস্থা অতিমাত্রায় খারাপ হলে দায়ী বিএনপি, আর ততটা খারাপ না হলে- দুর্ভিক্ষ জয়ী হিসেবে নিজেদের ঘোষনা করা। বিদেশ থেকে কিছু পদক কিনে এনে বিশাল সমাবেশ ও শুকরানা মাহফিল করা।

-এমন অনেক অনুমানকে সামনে রেখে আমরা কথা বলতে পারি। কিন্তু এগুলার মাধ্যমে ইমিডিয়েট রাজনৈতিক ফায়দা হাসিল করার চেয়ে আরও বড় একটা সুযোগ এই প্রশ্নে মানে দুর্ভিক্ষ প্রশ্নে সরকারের সামনে খোলা আছে। এই বিষয়টি সংক্ষেপে বলেই আজকের লেখা শেষ করবো।

বাংলাদেশের সংবিধান।।

“১৪১ক। জরুরী অবস্থা ঘোষণা:

(১) রাষ্ট্রপতির নিকট যদি সন্তোষজনকভাবে প্রতীয়মান হয় যে, এমন জরুরী অবস্থা বিদ্যমান রয়েছে, যাহাতে যুদ্ধ বা বহিরাক্রমণ বা অভ্যন্তরীণ গোলযোগের দ্বারা বাংলাদেশ বা উহার কোন অংশের নিরাপত্তা বা অর্থনৈতিক জীবন বিপদের সম্মুখীন, তাহা হইলে তিনি [অনধিক একশত কুড়ি দিনের জন্য] জরুরী অবস্থা ঘোষণা করিতে পারিবেন।

[তবে শর্ত থাকে যে, অনুরুপ ঘোষণার বৈধতার জন্য ঘোষণার পূর্বেই প্রধানমন্ত্রীর প্রতি-স্বাক্ষর প্রয়োজন হইবে।]

(সংবিধান (পঞ্চদশ সংশোধন) আইন, ২০১১ (২০১১ সালের ১৪ নম্বর আইন)-এর ৪৬ (ক) ধারাবলে সন্নিবেশিত।)

(৩) যুদ্ধ বা বহিরাক্রমণ বা অভ্যন্তরীণ গোলযোগের বিপদ আসন্ন বলিয়া রাষ্ট্রপতির নিকট সন্তোষজনকভাবে প্রতীয়মান হইলে প্রকৃত যুদ্ধ বা বহিরাক্রমণ বা অভ্যন্তরীণ গোলযোগ সংঘটিত হইবার পূর্বে তিনি অনুরূপ যুদ্ধ বা বহিরাক্রমণ বা অভ্যন্তরীণ গোলযোগের জন্য বাংলাদেশ বা উহার যে কোন অংশের নিরাপত্তা বিপন্ন বলিয়া জরুরী-অবস্থা ঘোষণা করিতে পারিবেন।“

আশা করি এই অংশ পাঠে পাঠক আগাম `দুর্ভিক্ষের` আশংকা প্রকাশের আসল মাজেজা এতক্ষণে বুঝতে পেরেছেন। সরকারের ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে সারাদেশে জনমত সংগঠিত হয়ে আছে। চরম দমন-অত্যাচারের ভয়ে সাধারণ মানুষ টু শব্দটি করতে পারছেন না। বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের উপর সরকার যা চালাচ্ছে তা গণহত্যার সাথে তুলনীয়। এমন অবস্থায় নির্বাচনের নামে একটা সাজানো কৌতুক জনগণ মেনে নিবে না। তুমুল আন্দোলন ছাড়া ভোটাধিকার ফিরে পাওয়ার সব পথ সরকার রুদ্ধ করে দিয়েছে। এবং সরকারও জানে এই জনপ্রতিরোধ দমন করা সম্ভব না। বিদেশের কোন শক্তির সাথে যুদ্ধেরও সম্ভবনা নাই। ১৫ বছরের লুটপাটে দেশের অবস্থা দিন দিন করুণ থেকে করুণতর হচ্ছে। এমন অবস্থায় চাইলেও দুর্ভিক্ষ ঠেকিয়ে রাখা সম্ভব না। ফলে যে কোন মূল্যে আওয়ামী লীগকে নিজেদের সৃষ্ট এ দুর্ভিক্ষের ফায়দা নিতেই হবে। `অর্থনৈতিক জীবন বিপন্নের সম্মুখীন`- তথা দুর্ভিক্ষের অজুহাতে জরুরী অবস্থা জারি করে হলেও আরও কিছু দিন ক্ষমতায় থাকার সুযোগ নেয়ার পথ সংবিধান সংশোধন করে এরা সেই ২০১১ সালেই করে রেখেছে। রাষ্ট্রপতিও বসানো হয়েছে মনের মত করে। কাজেই দুর্ভিক্ষ জনগণের জন্য সর্বনাশা হলেও আওয়ামী লীগ ঐতিহ্যগতভাবেই এটাকে পৌষমাস হিসেবে দেখে এটাই ওদের জন্য স্বাভাবিক।

তাহলে কি দুর্ভিক্ষ সৃষ্টি করে হলেও আরও কিছু দিন ক্ষমতাকে আকড়ে থাকার পথেই হাটছে আওয়ামী লীগ? এভাবে দেশকে বিপন্ন করে, মানুষকে অনাহারে হত্যার দিকে ঠেলে দিয়ে ক্ষমতায় টিকে থাকার পথকে বন্ধ করার একমাত্র পথ হলো জনগনের ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ। যতদ্রুত এই দেশবিরোধী ক্ষমতালোভী শক্তিকে পরাজিত করে জনগনের ভোটাধিকার কায়েম করে গণতান্ত্রিক পথে দেশকে ফিরিয়ে আনা যাবে ততই ক্ষতির পরিমাণ কমবে। দেশ গঠন সহজ হবে। না হলে এই বিপুল ক্ষতির কবল থেকে দেশকে আইনের শাসনের পথে আনার কাজ কঠিন থেকে কঠিনতর হয়ে উঠবে।

আওয়ামী লীগের মধ্যে যারা আসলেই মনে করেন রাজনীতি করতে হবে, নিজেদের স্বার্থেই এই ধরণের আত্মঘাতি মাফিয়া নীতি থেকে সরে আসার জন্য আপনাদের উচিৎ দলের হাই কমান্ডকে বাধ্য করা। যা হয়েছে, হয়েছে। এখনই থামুন। আর ক্ষতি না বাড়িয়ে, নিজেদের ভুল জনগণের কাছে স্বীকার করে অনতিবিলম্বে সঠিক রাজনৈতিক পথে ফিরে আসুন। জনঘৃণার বিপরীতে গিয়ে একটা রাজনৈতিক দল নিজেদের ও দেশের জন্য ক্ষতি ছাড়া আর কিছুই ডেকে আনতে পারে না। আমরা কি নিজেদের ভালোও বুঝবো না?

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here