বান্দরবানের রুমা ও থানচিতে ব্যাংকের টাকা ও অস্ত্র লুট এবং ম্যানেজারকে অপহরণের ঘটনা উল্লেখ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, পার্বত্য অঞ্চলে সীমান্তের ওপার থেকে এসে ব্যাংক ডাকাতি করে নিয়ে গেছে সন্ত্রাসীরা। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যদের সাহস, শক্তি ও যোগ্যতা নেই এসব সন্ত্রাসীদের প্রতিরোধ করার। তারা হেডম দেখাতে পারে শুধু বিএনপির নিরীহ-নিরস্ত্র মানুষের ওপর।
আজ শুক্রবার ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা পৌর ও উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত ইফতার ও দোয়া মাহফিলে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তারেক রহমান বলেন, ‘বিএনপির কোনো কর্মসূচি থাকলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা বলে বিএনপি এটা করবে, বিএনপি ওটা করবে; তারা আগেই খবর পেয়ে যায়। কিন্তু মানুষের জানমাল ও সম্পদ রক্ষায় তারা কিছুই করতে পারে না। মানুষের জানমাল ও সম্পদ রক্ষার সাহস, শক্তি ও যোগ্যতা তাদের নেই। দেশের মানুষের জন্য ভালো কিছু করার যোগ্যতা তাদের নেই। হেডম দেখাতে পারে শুধু বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর।’
তিনি বলেন, ‘আজকে ইফতার মাহফিলে কারামুক্ত যারা আছেন তাদের কী অপরাধ ছিল? একটাই অপরাধ তারা ভোট ডাকাতির প্রতিবাদ করেছিল, প্রতিরোধ করার চেষ্টা করেছিল। আওয়ামী লীগ ভোট ডাকাতের দল, মানুষের বুকে অস্ত্র ঠেকিয়ে ক্ষমতা দখল করেছে। এর প্রতিবাদ করায় সারা দেশে বিএনপির লাখ লাখ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে নিয়েছিল। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তাদের বৈধ অস্ত্রের অবৈধ ব্যবহার করেছিল নিরীহ-নিরস্ত্র মানুষের ওপর। এদেরই এক বড় কর্তা কী করেছে তা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। বনের সম্পদ দখল করে নিজের সম্পদ গড়ে তুলেছে। মানুষের সম্পদ দখল করেছে। বড় কর্তার নিচের লেভেলে যারা আছে তারা কী করেছে তা সহজেই বোঝা যায়।’
তারেক রহমান বলেন, ‘আজকে সীমান্তে হত্যা হচ্ছে। ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) সীমান্তে আমাদের সাধারণ মানুষকে গুলি করে মারছে। ৫৪তম স্বাধীনতা দিবসের একদিন আগে সীমান্তে দুইজনকে গুলি করে হত্যা করেছে। ডামি সরকার, ভোট ডাকাত সরকার প্রতিবাদ করেনি। প্রতিবাদ করার ক্ষমতা পর্যন্ত তাদের নেই। কারণ স্পষ্ট। খোদ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, প্রতিবেশী দেশ পাশে ছিল বলে তারা ক্ষমতায় আসতে পেরেছেন। ওমুক পাশে ছিল বলে ক্ষমতায় আছেন।’