বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে অস্ট্রেলিয়া। এই নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু এবং অংশগ্রহণমূলক (ইনক্লুসিভ) হওয়ার ওপর অব্যাহতভাবে আহ্বান জানাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া সরকার। একই সঙ্গে নির্বাচন-সংশ্লিষ্ট ব্যাপক সহিংসতা ও বিপুল সংখ্যায় বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে অস্ট্রেলিয়া। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির অস্ট্রেলিয়া শাখার আহ্বায়ক মোহাম্মদ মোসলেহ উদ্দিন আরিফের এক ই-মেইল বার্তার জবাবে এসব কথা বলেছে অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিনেটর পেনি ওং-এর পক্ষে ই-মেইলের জবাব দেন বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপ সেকশনের পরিচালক জেমা হেইন্স। বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে মন্ত্রণালয়ে মেইল পাঠান আরিফ। এর জবাবে জেমা হেইন্স লিখেছেন, আমাদের আগের অবস্থান সম্পর্কে আপনি হয়তো অবহিত থাকবেন। গণতন্ত্রের মৌলিক ভিত্তি হিসেবে মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে সুরক্ষিত রাখতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আমরা অব্যাহতভাবে আহ্বান জানাই।
আরও বিস্তৃতভাবে বলা যায়- ঢাকা, ক্যানবেরা এবং জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকারের কাছে মানবাধিকারের ইস্যুগুলো নিয়মিতভাবে তুলে ধরছে অস্ট্রেলিয়া সরকার। আপনি হয়তো দেখে থাকবেন, ঢাকায় আমাদের হাইকমিশনার ৩০শে অক্টোবর এবং ১০ই ডিসেম্বর অন্য কূটনৈতিক মিশনগুলোর সঙ্গে যৌথ বিবৃতি দিয়েছে। তাতে অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
যারা মানবাধিকার, মৌলিক স্বাধীনতা এবং সবার সমতাকে সুরক্ষিত রাখতে এবং তা এগিয়ে নিতে কাজ করেন, তাদের সঙ্গে আমাদের সংহতি পুনর্ব্যক্ত করা হয়েছে।