ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. নাদির জুনায়েদের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির পৃথক দুটি অভিযোগের তদন্তে কমিটি গঠন করা হয়েছে।
যৌন হয়রানির পৃথক দুটি অভিযোগের প্রাথমিক তদন্তের জন্য ১৪ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে তিন সদস্যের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি গঠন করা হয় এবং একই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে একাডেমিক অসদাচরণের আরেকটি অভিযোগ তদন্তে আরও একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
রবিববার(৩ মার্চ) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভায় এসব কমিটি গঠন করা হয়।
যৌন হয়রানি তদন্তে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক সীমা জামানকে প্রধান এবং সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক মাসুদুর রহমান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর সঞ্চিতা গুহকে সদস্য করা হয়েছে।
একাডেমিক অসদাচরণের অভিযোগ অনুসন্ধানে গঠিত অন্য কমিটিতে রয়েছেন উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) ড. সীতেশ চন্দ্র বাছাড়, সিন্ডিকেট সদস্য এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবুল মনসুর আহমেদ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বাহালুল হক চৌধুরী।
গত ১০ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের এক ছাত্রী প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাকসুদুর রহমানের কাছে যৌন হয়রানির লিখিত অভিযোগ করেন। পরদিন নাদিরের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগ করেন বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী।
পরে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি নাদির জুনায়েদের বিরুদ্ধে আবারও যৌন হয়রানির অভিযোগ করেন সাবেক এক শিক্ষার্থী।
এর আগে গত ৭ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, ব্যক্তিগত প্রতিহিংসা ও একাডেমিক অসদাচরণের বশবর্তী হয়ে অধ্যাপক নাদির ইচ্ছাকৃতভাবে তাদের একটি কোর্সে অস্বাভাবিক কম নম্বর দিয়েছেন।
অভিযোগ দায়েরের পরপরই শিক্ষার্থীরা অভিযুক্ত অধ্যাপককে সাময়িক বরখাস্ত ও বিচারের দাবিতে সব ধরনের একাডেমিক কার্যক্রম বর্জন করে প্রতিবাদে ফেটে পড়েন।
তবে আন্দোলনের মধ্যে ১২ ফেব্রুয়ারি নাদিরকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।