গাজীপুরের শ্রীপুরে ঢাকা-ময়মনসিংহ রেললাইন কাটতে অক্সিঅ্যাসিটিলিনের ব্যবহার করেছে দুর্বৃত্তরা। অক্সিঅ্যাসিটিলিনের মাধ্যমে রেললাইন গলিয়ে দুর্বৃত্তরা এই নাশকতা করেছে।
ঘটনাস্থল থেকে অক্সিঅ্যাসিটিলিন ও এলপি গ্যাসের সিলিন্ডার জব্দ করা হয়েছে।
বুধবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঢাকা রেঞ্জ পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) সৈয়দ নুরুল ইসলাম এসব তথ্য জানান।
অক্সিঅ্যাসিটিলিনের ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, এটি হচ্ছে অক্সিজেন ও অ্যাসিটিলিন গ্যাসের মিশ্রণ। এর মাধ্যমে প্রজ্বালিত অগ্নিশিখার তাপমাত্রা ৩ থেকে ৪ হাজার ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড হয়ে থাকে। লোহা বা ধাতব পদার্থ গলাতে অক্সিঅ্যাসিটিলিনের ব্যবহার করা হয়।
ডিআইজি সৈয়দ নুরুল ইসলাম বলেন, রেললাইনকে অক্সিঅ্যাসিটিলিনের মাধ্যমে গলিয়ে ফেলা হয়েছে। এই রেললাইন গলানোর জন্য ২ হাজারের বেশি তাপমাত্রা দরকার। এই ম্যাকানিজম যারা দিয়েছে, তারা পেছনে আছে। আমরা তাদের খুঁজে বের করব।’
রেললাইন কাটা নাশকতা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটি নাশকতার ঘটনা। যারা নাশকতাকারী, যারা এত বড় একটি দুর্ঘটনার প্ল্যানিং করেছে, তাদের সবাইকে খুঁজে বের করা হবে। এমন পরিকল্পিত সহিংসতায় যারা জড়িত, তারা আইনের আওতায় আসলে সবার জন্য এটি একটি মেসেজ হবে।’
প্রসঙ্গত, বুধবার ভোর সাড়ে চারটার দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ রেলপথের শ্রীপুরের প্রহলাদপুর ইউনিয়নের বনখরিয়া এলাকায় আন্তনগর মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনের লোকোমোটিভসহ মোট সাতটি বগি লাইনচ্যুত হয়। এতে আসলাম হোসেন (৩৫) নামে ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ের এক যাত্রী নিহত হন। আহত হন আরও অন্তত ১০ জন। ট্রেনটি নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ থেকে ঢাকার কমলাপুরের দিকে যাচ্ছিল। মঙ্গলবার রাতের কোনো এক সময় গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুর ও ভাওয়াল রেলস্টেশনের মাঝামাঝি স্থানে বনখরিয়া এলাকায় রেলপথের একটি অংশ কেটে রাখে দুর্বৃত্তরা। ভাওয়াল রেলস্টেশনে পৌঁছানোর আগেই ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয়ে যায়।